বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

মুক্তাচাষ প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্ত চায় ছাত্রলীগ

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএফআরআই) মুক্তাচাষ প্রকল্পে দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিএনপি-জামায়াতের ঠিকাদারদের কাজ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এ ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানী ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ড. হারুন অর রশিদকে দুর্নীতির এ দুষ্টচক্রের মূল হোতা হিসেবে দায়ী করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ তার বিরুদ্ধে সব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন করে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অর্পি হাওলাদার অভিযোগ করেন, এ প্রকল্পের দুতলা ভবনের সামনের সড়ক, মাটি ভরাট ও ফ্লোরা নির্মাণের কাজ দরপত্রবিহীন কার্যাদেশ বহির্ভূতভাবে স্থানীয় বয়ড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক তোতা ও তার লোক জনিকে দিয়েছেন। এ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলে বিএফআরআইর ডিজি অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই ফ্লোরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। বাকৃবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিজয় বর্মণ বলেন, দুই হাজার ৮০০ স্কয়ার ফিটের এ দুতলা ভবনের হ্যাচারি কাম ল্যাবরেটরিজ ভবন নির্মাণে পাইলিং বাবদ কার্যাদেশবহির্ভূতভাবে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। এসব করা হয়েছে টাকা আত্দসাতের জন্য। তারা আরো অভিযোগ করেন, সমপ্রতি মুক্তাচাষ প্রকল্পে সাইন্টিফিক অফিসার পদে ৪০ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এখানে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের চাকরি হয়নি। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মুক্তাচাষ প্রকল্প পরিচালক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, দরপত্রবহির্ভূতভাবে কোনো কাজ করা হয়নি। রাস্তা, মাটি ভরাট ও ফ্লোরা নির্মাণ কাজই শুরু হয়নি। সয়েল টেস্ট রিপোর্টের ভিত্তিতে পাইলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর