বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা
কোচিং না করার অপরাধ

ছাত্রীদের অন্ধকার কক্ষে বন্দী করে রাখলেন শিক্ষক

কোচিং না করার অপরাধে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা পীএম পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ২০ ছাত্রীকে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এসব ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবু রায়হান তাদের কক্ষ থেকে বের করে মাঠে নিয়ে ১৫ মিনিট বৃষ্টির মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এরপর ভেজা শরীর নিয়ে এসব ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্দি করে রাখা হয়। এ সময় ওই কক্ষের বৈদ্যুতিক সংযোগের কাডাউট খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে অন্ধকার কক্ষে আতঙ্কে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অভিভাবকরা তাদের উদ্ধার করেন। ভুক্তভোগী এক ছাত্রী গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. আবু রায়হান বলেন, '১৫/২০ জন খুব দুর্বল ছাত্রী। ওদের কোচিং করা জরুরি। কোচিং না করে পরীক্ষায় অংশ নিলে তো লাভ নাই। তাই ওদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। তবে আটকে রাখার অভিযোগ সঠিক নয়। তাদের একটি কক্ষে কেন বসিয়ে রাখা হয়েছিলো?' এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এসব ছাত্রীর কোচিং করার জন্য টাকা চেয়ে অভিভাবকের কাছে খবর পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু তারা আসেননি। এজন্য ছাত্রীদের বসিয়ে রেখে তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে আনা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফিরোজা বেগম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। ঘটনা সত্যি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম ফখরুজ্জমান বলেন, এটি দুঃখজনক। শিক্ষকদের এমন আচরণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক যন্ত্রণার কারণ ছাড়া আর কিছু নয়। এটা তদন্ত হওয়া জরুরি এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর