বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা
বন্যার পানি কমছে

তিস্তাপাড়ে ব্যাপক ভাঙন

বিভিন্ন স্থানে নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নদী ভাঙনসহ দুর্গত এলাকায় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে তিস্তাপাড়ে ব্যাপক ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো বিবরণ-

লালমনিরহাট : তিস্তার পানি কমে গেলেও বেড়েছে ভাঙনের প্রকোপ। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় অর্ধশত বাড়ি ও ১০০ মিটার বালির বাঁধ তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়েছে। জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালির বাঁধ, চণ্ডীমারী এলাকায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৪৫টি বাড়ি ও ১০০ মিটার দীর্ঘ বালির বাঁধ তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়েছে। বহুল আলোচিত দহগ্রামেও প্রায় ১৬টি বাড়ি তিস্তায় তলিয়ে গেছে। গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেয়ে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদের পানি কমেছে ১২ সেন্টিমিটার। অন্যদিকে তিস্তার পানি ৪ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও এগুলো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। এদিকে জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি বন্যার পানির নিচে তলিয়ে থাকায় অন্তত ২০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী। বগুড়া : সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যমুনার চর এলাকায় কৃষি জমিতে আবাদকৃত ফসল তলিয়ে রয়েছে। এদিকে বন্যার কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল ধুনট উপজেলায় গৃহবধূ মিনু খাতুনের (২৮) মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর