মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

মুন্সীগঞ্জে ভাঙন আতঙ্কে পদ্মাপাড়ের মানুষ

মুন্সীগঞ্জে ভাঙন আতঙ্কে পদ্মাপাড়ের মানুষ

নদীভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

চলতি বর্ষা মৌসুমের আগেই পদ্মা ধারণ করে রাক্ষসী রূপ। প্রতিদিন হজম করছে একের পর এক বসতি, ফসলি জমি। প্রতিনিয়তই নিঃস্ব হচ্ছে পদ্মাতীরের শত শত মানুষ। নদীর কাছাকাছি যারা বসবাস করছেন তদের মধ্যে বিরাজ করছে ভাঙন আতঙ্ক। পদ্মার সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে মুন্সীগঞ্জ সংলগ্ন মেঘনা নদীতেও। ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে গতকাল জেলার গজারিয়া উপজেলার ইসমানিচর গ্রামে মেঘনা পাড়ে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এতে গ্রামটির শত শত নারী-পুরুষ। জানা যায়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধিতে প্রচণ্ড ঘূর্ণি স্রোত ও উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে পদ্মা গ্রাস করছে বাড়িঘর, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বাজার ও ফসলি জমি। প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষায় পানি বাড়তে শুরু করেছে প্রমত্ত পদ্মায়। আর পদ্মা ধীরে ধীরে আরো ভয়াল রুপ নিচ্ছে। ভাঙন আতঙ্কে ভাগ্যকুল বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ী ও দোকানদার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখনই। গেল বর্ষায় ভাগ্যকুল বাজারের অর্ধেক পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। বাকী অংশটুকু এবার পদ্মার গর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। গত বছর স্থানীয়ভাবে বাঁশ, বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধে বিচ্ছিন্নভাবে বাঁধ দেওয়া হলেও এ বছর স্থানীয় বা সরকারিভাবে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। তাই বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবি পদ্মা পারের মানুষের। স্থানীয়রা পদ্মার ভাঙনের জন্য নদী থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনকেও দায়ী করেন। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন জানান, নির্দিষ্ট প্রকল্প ছাড়া নদীর তীর রক্ষা বাধ নির্মাণ করা হয় না। শ্রীনগরের ভাগ্যকুল থেকে যশলদিয়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ভাঙন প্রতিরোধ বাধের একটা প্রকল্প একনেকে রয়েছে। দুই বছর মেয়াদি ৩১০ কোটি টাকা বাজেটের এ প্রকল্পটি আগামী অর্থবছরের অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে। যাচাই বাছাই শেষে প্রকল্প অনুমোদিত হলে ভাঙন রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

সর্বশেষ খবর