শনিবার, ৪ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

তিস্তার পানি কমলেও বাড়ছে দুর্ভোগে

তিস্তার পানি কমলেও বাড়ছে দুর্ভোগে

লালমনিরহাটে পানিবন্দী মানুষ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

তিস্তা নদীতে পানি কমতে শুরু করলেও চরম দুর্ভোগে রয়েছেন নদীবেষ্টিত এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। পানিবন্দী এই বানভাসীরা অবস্থান করছেন স্কুলসহ উঁচু স্থানে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে আছে বিভিন্ন চর ও বসতিসহ চাষের জমি। পানির তোড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে যৌথবাঁধ এবং মাটির ৪টি ক্রসবাঁধ। হুমকির মুখে রয়েছে তিস্তার ডান তীর বাঁধ। সর্তকাবস্থায় রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড ফিউজ। সেখানে লাল ঝাণ্ডা উড়ানো হয়েছে। বাসিন্দাদের অন্যতম জীবিকা মাছচাষের পুকুরেও নদীর পানি ঢুকেছে। চাষের মাছ বাইরে বেরিয়ে তাদের লোকসানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রবল পানির তোড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে তিস্তাপাড়ের ৬৯টি গ্রাম ও চর। এ অবস্থায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন অধিবাসীরা। ত্রাণ দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। ত্রাণ সামগ্রীর অভাবে খাদ্য সংকটে পড়েছেন ডিমলা উপজেলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খালিশা চাপানী, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এবং পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, ছাতুনামা, বাঘের চর, ঝাড়সিংহেশ্বরের নিম্নাঞ্চল ও চরবাসী। লালমনিরহাটের সানিয়াযান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লা জানান, ইউনিয়নটিতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র দুই মেট্রিক টন। অপ্রতুল চাল নিয়ে বন্যা কবলিতদের সামনে গিয়ে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে থাকায় রান্না করতে না পারায় চিড়া, মুড়ি খেয়ে রোজা পালন করছেন চরাঞ্চলের মানুষ। উল্লেখ্য, বুধবার বিকাল থেকে নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়তে থাকলেও দুই দিন পর গতকাল সকাল ৬টা থেকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করে।

 

সর্বশেষ খবর