ভুল চিকিৎসায় গোপালগঞ্জে সালমা সুলতানা শিলা (২৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকার হলিফ্যামিলি হাসপাতালে আইসিইউতে চার দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মঙ্গলবার তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ডাক্তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গৃহবধূর বাবা আকবর আলী জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর তার মেয়ে শিলার প্রসব বেদনা উঠলে গোপালগঞ্জ শহরের ডাক্তার মাহফুজুর রহমানের জিম ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতে ওই দিন দুপুরে সিজারের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় তার। অপারেশনে শিলার প্রচুর রক্তপাত হয় এবং প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ডাক্তার মাহফুজ আমাদের না জানিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ওই দিনই রাতে রোগীর দ্বিতীয় দফা অপারেশন করেন। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে শিলার শরীরে পুশ করা হয় তিন ব্যাগ রক্ত। দ্বিতীয় দফা অপারেশন করার পর রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে তিনি শিলাকে ঢাকা নিতে বলেন। ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকা নিয়ে প্রথমে কিডনি হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউর বেড খালি না থাকায় তাকে লালমাটিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৩ অক্টোবর হলিফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে চার দিন থাকার পর শিলার মৃত্যু হয়। আকবর আলীর দাবি, তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী ডাক্তার মাহফুজুর রহমান ও তার হাতুড়ে সহযোগী তোফাজ্জেল হোসেন টুকু। তিনি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অভিযুক্ত ডাক্তার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি গাইনি ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ নয়। কিন্তু অপারেশন করে আসছি প্রায় ২৫ বছর ধরে।’ তিনি আরও বলেন সিজার করায় রোগীর ক্ষতি হয়নি। রক্ত পরীক্ষা করে রোগীর কিডনিতে সমস্যা মনে হওয়ায় তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।