নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে গোপন দরপত্র প্রক্রিয়ায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার মেরামত কাজ ভাগাভাগির প্রক্রিয়া চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। নির্দিষ্টহারে ঘুষের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারকে এসব কাজ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অফিসের নোটিস বোর্ডে সাঁটানো হচ্ছে না এসব কাজের বিজ্ঞাপন। এতে কাজ না করে বিলের টাকা ভাগাভাগির আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বঞ্চিত ঠিকাদাররা। তবে কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীন তিনটি উপ-বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া, মেঘনা-গোমতী সেতুর পশ্চিম প্রান্ত, কাঁচপুর এলাকা, কাঞ্চন সেতু এলাকা ও ঢাকা-সিলেট সড়ক কিছু অংশ সংস্কারের জন্য দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকার প্রাক্কলন তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গত মাসে পাঠানো হয়। অনুমতি চাওয়া হয় সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে (এলটিএম) ঠিকাদার নিয়োগের জন্য। কাজগুলো অনুমোদন শেষে গোপন টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, প্রাক্কলন শাখার সহকারী প্রকৌশলী, একজন প্রাক্কলনবিদ ও একজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পাঁচজন ঠিকাদারের কাছ থেকে নির্দিষ্টহারে ঘুষ নিয়ে কাজ তাদের আগেই দিয়ে দিয়েছেন। এরমধ্যে একজন ঠিকাদার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিছু মেরামত কাজও করেছেন। অপর এক ঠিকাদার কাঁচপুরে এবং সরদার এন্টারপ্রাইজ নামক আরেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের আগেই মোগরাপাড় এলাকায় সামান্য মেরামত কাজ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে। অপরদিকে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা বাইপাস ও আদমজী ইপিজেড সড়কের বিভিন্ন অংশে মেরামত কাজের নামে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় ধরে ৫০টির বেশি মেরামত কাজের প্রাক্কলন কোটেশন (আরএফকিউ) পদ্ধতিতে দরপত্র আহŸানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছেন। এক সপ্তাহে আগে অত্যন্ত গোপনীয়তায় ৬/৭টি নিলাম নোটিসের মাধ্যমে এ কাজ পছন্দের ঠিকাদারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এসব কাজের মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের প্রাক্কলন শাখার সহকারী প্রকৌশলী শাহজাহান মিয়া ৬/৭টি নোটিসে নিলাম দরপত্র (আরএফকিউ) এর মাধ্যমে কাজ বণ্টনের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ডিপার্টমেন্ট ও ঠিকাদারদের স্বার্থে এগুলো গোপন রাখা হয়েছে। সীমিত দরপত্র পদ্ধতির (এলটিএম) নোটিস প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।