বগুড়ায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ও স্ত্রী-পুত্রসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ময়মনসিংহে যুবক হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে দুজনকে। পিরোজপুরে পুত্র হত্যার দায়ে বাবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। নিজস্ব প্রতিবিদেক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- বগুড়া : জেলা শহরের শিববাটি এলাকায় ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলায় স্বামীর ফাঁসি ও স্ত্রী, দুই পুত্রসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক হাফিজুর রহমান গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি সরকারপাড়ার গফুর আলী ছেলে বেলাল হোসেন বিলু। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন বিলুর স্ত্রী নাসিমা, দুই ছেলে নাদিম এবং আজিম ও প্রতিবেশী নুর ইসলামের ছেলে রায়হান মিয়া। ফরিদপুর : সদরপুর উপজেলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে গতকাল স্বামী মিঠু দেওয়ানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা দায়রা জজ বজলুর রহমান এ দেন। ময়মনসিংহ : ফুলপুরে সোহাগ হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ময়মনসিংহের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক জহিরুল কবির। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তানভীর আহমেদ ও আসাদুজ্জামান আসাদ। এছাড়া আসিফ হাসান নামে আরেক আসামিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পিরোজপুর : পিরোজপুরে পুত্র হত্যার দায়ে পিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। পিরোজপুরের অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ নাজিম-উদ্দৌলা গতকাল দুপুরের পরে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আতাহার আলী (৬০) নাজিরপুর উপজেলার বিলডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে ২০১০ সালের ৪ মে রাতে আতাহার আলী নিজ বাড়িতে ছেলে মাসুমকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় মাসুমের চিৎকার শুনে চাচা এরশাদ আলী ও প্রতিবেশীরা আতাহার আলীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী নূপুর আক্তার মামলা দায়ের করেন।