মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নির্বিচারে নষ্ট করছে ফসল আতঙ্কে গ্রামবাসী

জামালপুরে বন্য হাতির হানা

জামালপুর প্রতিনিধি

ভারতীয় সীমান্তবর্তী জামালপুরের বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়েছে বন্যহাতির আক্রমণ। প্রায় প্রতি রাতেই হাতির দল হানা দিচ্ছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে। নির্বিচারে নষ্ট করছে কৃষকের উঠতি ফসল ও বাড়িঘর। গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারা দিয়েও ঠেকাতে পারছেন না বন্যহাতির দলকে। সীমান্তবর্তী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মাখনের চর, বাঘারচর, কুমারের চর, পাথরের চরসহ ১০টি গ্রামজুড়ে চলছে বন্যহাতির আক্রমণ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পর পরই ভারতীয় পাহাড়ি এলাকা থেকে এপারে সমতল গ্রামগুলোতে নেমে আসে হাতির দল। রাতভর ফসলি জমি ও বাড়িঘরে তাণ্ডব চালিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই ফিরে যায় ভারতীয় পাহাড়ে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, সন্ধ্যা হলেই বিএসএফ কাঁটাতারের গেট খুলে দিয়ে পেছন থেকে সার্চ লাইটে তাড়া দিয়ে হাতির দলকে বাংলাদেশের গ্রামে নেমে আসতে সহায়তা করে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বা আলোর ব্যবস্থা না থাকায় কোনোভাবেই হাতির দলকে গ্রাম থেকে সরানো যায় না। স্থানীয়রা রাত জেগে  আগুন জ্বালিয়ে, পটকা ফুটিয়ে ও মাইকের শব্দ করে হাতির আক্রমণ থেকে ফসল ও বাড়িঘর রক্ষায় চেষ্টা করছেন। হাতির ভয়ে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্য গ্রামে। মাখনের চর গ্রামের বাসিন্দা প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ও মিরপুর চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর প্রাণি বিশেষজ্ঞ ডা. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, প্রতি বছর ধানকাটার মৌসুম এলেই সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বেড়ে যায় বন্যহাতির আক্রমণ। নষ্ট করে ফসলি জমি ও বাড়িঘর। হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। তিনি বলেন পাহাড়ে খাবারের অভাবের কারণেই তারা নেমে আসে সমতলে। জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, বন্যহাতির আক্রমণ থেকে গ্রামবাসীকে রক্ষায় ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে দুটি জেনারেটর, পর্যাপ্ত শক্তিশালী টর্চ ও সোলারের।

সর্বশেষ খবর