শিরোনাম
রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

টুংরো ও পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত আমন খেত

নীলফামারী প্রতিনিধি

টুংরো ও পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকার উঠতি রোপা আমন খেত। যার পরিমাণ কমপক্ষে ২০ হাজার বিঘা। টুংরো ও পাতা পোড়া রোগে আক্রন্ত খেতের ফসলে শীষ বের না হওয়ায় কৃষকরা হয়ে পড়েছেন দিশাহারা। আগামী দিনগুলো কীভাবে কাটবে এ চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। তারা ক্ষতি সামাল দিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। জানা গেছে, এ জেলার কৃষকরা আমন চারা রোপণের পর খেতে দিয়েছেন নিড়ানী। চারা সবল-সতেজ করতে প্রয়োগ করেছেন জৈব ও রাসায়নিক সার। খেত পোকা-মাকড়মুক্ত রাখতে প্রয়োগ করেছেন কীটনাষক। প্রাকৃতিকভাবে পোকা দমনে খেতে দিয়েছেন কঞ্চি, রোপণ করেছেন ধইঞ্চা। যাতে পাখি বসে পোকা খেতে পারে। এতকিছুর পরও শীষ বের হওয়ার মুহূর্তে খেত আক্রান্ত হয়েছে টুংরো ও পাতা পোড়া রোগে। এসব খেতে বের হয়নি শীষ। নীলফামারীর জলঢাকার খালিশা খুটামারা গ্রামের জামাল উদ্দীনের সাত বিঘা জমির ধানের পাতা শুকিয়ে গেছে। কিছু কিছু পাতা ধারণ করেছে হলুদ বর্ন। খেত বাঁচানোর জন্য তিনি কৃষি বিভাগের উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন। তাদের পরামর্শে খেতে পটাশ সার ছিটিয়েছেন। দিয়েছেন কীটনাশক। এরপরও বাঁচাতে পারেননি খেত। এ মৌসুমে তিনি এক দানা ধানও ঘরে তুলতে পারবেন না। একই এলাকার কৃষক আমিনুর রহমানের তিন বিঘা খেতেরও একই দশা। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. ইদ্রিস জানান, জেলায় এবার এক লাখ ১১ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। থোড় আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কোনো রোগবালাই ছিল না।

হঠাৎ টুংরো ও পাতা পোড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে আমন খেত। এসব খেতে শীষ বের হবে না। যার পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খেতের নমুনা ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। সরেজমিনে দেখার জন্য সেখান থেকে একটি টিম নীলফামারী আসবে।

সর্বশেষ খবর