রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

‘আমারে মারত, বাবারে মারল কেন’

চাঁদপুর প্রতিনিধি

হোটেল মালিকের গুলিতে নিহত রিয়াদের জন্য মুষ্টি চাল তুলে শুক্রবার মিলাদের আয়োজন করে প্রতিবেশীরা। এ সময় হাজীগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়াইন গ্রামে রিয়াদের বাড়িতে উপস্থিত প্রতিবেশীদের বুকে ছিল চাপা কান্না। চার দিন ধরে খাওয়া-দাওয়া নেই মা রোকেয়া বেগমের। ছেলের শোকে শুধুই বিলাপ করছেন তিনি। জানা যায়, দেড় শতাংশ বসতভিটা ছাড়া রিয়াদের মায়ের আর কোনো সম্বল নেই। দুই ছেলেকে বুকে আগলে স্বামী হারা রোকেয়ার কেটে গেছে ১৭টি বছর। বিয়ের সাত বছরের মধ্যে দুই সন্তান। তারপর স্বামীর মৃত্যু। সেই দুই ছেলের ছোট ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে ঢাকার এক হোটেল মালিক। রিয়াদের মা রোকেয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার কপালে কেন সুখ সয় না। আমার সুখ কেন কাইড়া নিল। আমার বাবারে কেন মারল, তার আগে আমারে মারত। ওই জানোয়ার আমাকেও মারুক।’ তিনি আরও বলেন, পরের বাড়িতে কাজ করেছি। যাকাতের কাপড় পরেছি। ছেলেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করেছিলাম। পড়ালেখার খরচ চালাইতে পারি নাই। তাই হোটেলে দিয়েছি। আর সুখ হইলো না। কাইড়া নিলো আমার সুখ। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছেলে হত্যাকারীর বিচার চাই।’ অভিযোগ রয়েছে, মুঠোফোন চুরির অভিযোগে হোটেলকর্মী রিয়াদকে গুলি করে হত্যা করে মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আরিফুল ইসলাম সোহেল। এ ঘটনায় ঢাকার ওয়ারী থানায় মামলা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর