শিরোনাম
রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

৪৪ বছর পর কবর খুঁজে পেলেন স্বজনরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর স্বজনরা খুঁজে পেলেন দুই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর। এঁরা হলেন তৎকালীন ইপিআরের ল্যান্স নায়েক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং হাবিলদার মো. মিয়া হোসেন।

১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দিনাজপুর-রংপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের দশমাইল মোড়ে সম্মুখ সমরে শহীদ হন তারা। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার ছয় মাস পর তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর থেকে এই দুজনের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়ার সনদ, দুই হাজার টাকা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষর করা একটি চিঠি পায়। কিন্তু পরিবারের কেউ জানতে পারেনি এই দুজনকে কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে বা আদৌ কবর দেওয়া হয়েছে কিনা। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর অবশেষে স্বজনেরা সন্ধান পেলেন এই দুই শহীদের কবর। শনিবার দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও-রংপুর মহাসড়কের দশমাইল মোড় নামক স্থানে পরিবারের সদস্যরা এ দুজনের কবরের পাশে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর দুই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিহতদের কবরের সন্ধান দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিনিয়োগ বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মাহবুব কবির মিলন। মাহবুব কবির মিলন বলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সন্ধান করেন। তেমনই একটি ইতিহাসের পেছনে ছুটতে গিয়ে তিনি এই দুই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবরের সন্ধান পান।

স¤প্রতি বিজিবির সদর দপ্তর পিলখানার রেকর্ড অফিস থেকে তাদের পারিবারিক ঠিকানা বের করা হয়। ল্যান্স নায়েক মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের উত্তর বাটমারা গ্রামে। হাবিলদার মিয়া হোসেনের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউর ইউনিয়নের গৌরকান্দা গ্রামে। মিয়া হোসেনের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে বেঁচে আছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর