সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জোয়ারে চলে ফেরিঘাটে যানজট

চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে দুটি স্থানে ডুবোচর তৈরি হওয়ায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। চরে ফেরি আটকে গাড়ি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। নদীতে জোয়ার হলে ফেরি চলতে পারলেও গাড়ি বোঝাই করা হয় কম। গাড়ি পারাপার কম হওয়ায় শরীয়তপুরের আলুর বাজার ও চাঁদপুরের হরিনা ঘাটে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে তিনটি ফেরি যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করে থাকে। নৌপথের হরিনা-লক্ষীরচর-বেরাচাক্কি চ্যানেল দিয়ে ফেরিগুলো চলাচল করে। এ পথের শরীয়তপুর অংশের বেরাচাক্কি ও চাঁদপুর অংশের লক্ষীরচর এলাকায় ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। এক মাস ধরে ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে ফেরি। নদীতে জোয়ার হলে ফেরি চলাচল করতে পারে। এ নৌপথে আগে প্রতিদিন ৩০০ গাড়ি পারাপার করা হতো। এখন ৮০ থেকে ১২০টি পারাপার করা যাচ্ছে। প্রতিটি ফেরিতে আগে গাড়ি নেওয়া হতো ১২টি। এখন নেওয়া হচ্ছে ৪-৫টি। ফেরিগুলো আগে ২৪ ঘণ্টায় ১২ বার ট্রিপ দিলেও এখন দিচ্ছে ছয়টি। নদীতে জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে কুমিল্লা, নোয়াখালি, ফেনী ও চট্টগ্রামে সহজে যাতায়াত করতে মানুষ এ নৌপথটি ব্যবহার করেন। বিআইডব্লিউটিএ নৌপথের দুটি স্থানে ১৫ দিন আগে দুটি খনন যন্ত্র লাগায়। তার মধ্যে বেরাচাক্কি এলাকায় বসানো খনন যন্ত্রটি সাত দিন ধরে বিকল।  বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর ব-দ্বীপ অঞ্চলের ব্যবস্থাপক ইমরান আহম্মেদ জানান, ডুবোচরের কারণে ফেরি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। কম গাড়ি পারাপারের ফলে দুই ঘাটে যানজট লেগেই থাকে। বিআইডব্লিউটিএ ধীরগতিতে চ্যানেলে ড্রেজিং করছে। দ্রুত ড্রেজিং করার জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। নড়াইল থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রাকচালক সোলেমান বলেন, ‘ফেরির সিরিয়াল পেতে ঘাটে এক দিন অপেক্ষা করতে হয়। এতে আমাদের সময় ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।’ বিআইডব্লিউটিএর নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, ‘চ্যানেলে ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। চেষ্টা করছি দ্রুত খনন শেষ করে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করতে। খনন যন্ত্র কম, কিন্তু এক সঙ্গে অনেকগুলো নৌপথে খননের কাজ চলছে। এ কারণে ধীরগতি।’

সর্বশেষ খবর