নয় দিনের শিশু নুরতাজ জানে না তার বাবা আরমান দুনিয়ায় নেই। বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে আরমান হোসেনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ হত্যার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল আরমানের দমদমার বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার মা রওশন আরার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার আরমানকে বুধবার বিকালে মোগরাপাড়া বাজার থেকে ডেকে নেয় ওই এলাকার সোহেল মিয়া। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় আফিয়া পাম্পের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হাত ও পায়ে রগ কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অবিলম্বে আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। নিহতের বোন নিগার সুলতানা জানান, গোহাট্টা গ্রামের হৃদয় মিয়া, সোহান মিয়া, রবিন মিয়া, লিটন মিয়া, শান্ত মিয়া, ফয়েজ মিয়া, লিজন মিয়া, সুমন মিয়া ও ড্রাইভার মামুনের সঙ্গে বিরোধের জেরেই আমার ভাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহতের বড় মেয়ে মোগরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সাবিকুন্নাহার তার বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানায়। নিহতের স্ত্রী নিপালী বেগম জানান, দুটি সন্তান নিয়ে এখন আমি কীভাবে বাঁচব। তার সন্তানদের যারা এতিম ও তাকে স্বামীহারা করল তাদের বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ জানান, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার জন্য ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ নেওয়া হয়েছে। নিগার সুলতানা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।