শিরোনাম
রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আরোগ্যকুঞ্জ এখন নিজেই রোগাক্রান্ত

সৈয়দ বয়তুল আলী, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের ভেষজ বাগান ‘আরোগ্যকুঞ্জ’ অবহেলা এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এখন ক্রমেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। পাচার হচ্ছে ভেষজ বাগানের নানা উপকরণ। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের স্থানে স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভেষজ বাগান গড়ে তোলার লক্ষ্যে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের অদূরে দুই একর জমির ওপর পরীক্ষামূলকভাবে ২০০১-০২ অর্থবছরে বনবিভাগের উদ্যোগে সৃজন করা হয় ভেষজ বাগান আরোগ্যকুঞ্জ। এ বাগানে রোপণ করা হয়েছিল- অশোক, অর্জুন, আমলকী, কাঞ্চন, কুরছি, ঝাউ, চালতা, চালমোগরা, ছাথিয়ান, জয়ত্রী, পলাশ, বহেরা, বৈচি, নিম, মহুয়া, ডুমুর, রক্তচন্দন, হরীতকী, নাগেশ্বর, বনবরই, বাশক, কালধুতুরা, ঘৃতকুমারী, মনকাঁটা, ঘৃতকাঞ্চনসহ নানা প্রজাতির ভেষজ বৃক্ষ ও লতাগুল্ম। মাটির গুণে উলি­খিত জাতের ভেষজ গাছ ও লতাগুল্ম বেড়ে উঠে আপন বৈশিষ্ট্য নিয়ে। বাগান সৃজনকালে প্রাথমিক দেখভালের দায়িত্ব ছিল সিলেট বিভাগীয় বন সংরক্ষকের অধীনে। কিন্তু ২০০৬ সালে এ দায়িত্ব বর্তায় বিভাগীয় জীববৈচিত্র্য অফিসের ওপর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন কর্মকর্তা বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভেষজ বৃক্ষ এবং লতাগুল্মের বাণিজ্যিক চাহিদা ধারণায় রেখে পরীক্ষামূলকভাবে বাগানটি করা হয়েছিল। এখন মনে হচ্ছে এটি ছিল খেয়ালি পদক্ষেপ। পরিচর্যার অভাবে বর্তমানে ভেষজ বাগানের কোনো কোনো বৃক্ষে দেখা দিয়েছে আগামরা (টপডাইং) রোগ। লতাগুল্ম ঘিরে ফেলেছে আগাছা। অন্যদিকে ভেষজ বৃক্ষের নানা উপকরণসহ লতাগুল্ম পাচার হচ্ছে। বিভিন্ন হারবাল কোম্পানির স্থানীয় এজেন্টরা এগুলো কিনে নিচ্ছে বলে একটি সূত্র দাবি করছে। এ ব্যাপারে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগের ডিএফও বলেন, ‘আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছু জানি না।

সর্বশেষ খবর