মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অবশেষে প্রতিবন্ধী শিশুর ভাঙা পায়ে প্লাস্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

অবশেষে প্রতিবন্ধী শিশুর ভাঙা পায়ে প্লাস্টার

মায়ের পিঠে প্রতিবন্ধী শিশু শাহিন

শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু শাহিন (১০)। তার ভাঙা পায়ে প্লাস্টার করা দরকার। হাঁটতে না পারায় মা কাঁধে বহন করে প্লাস্টার করার জন্য চার দিন ধরে ছুটে বেড়াছেন হাসপাতালে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে যে টাকা ছাড়া প্লাস্টার করা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে পায়ে পচন ধরে। অথচ চিকিৎসক ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মীদের দ্বারস্থ হলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সবশেষ গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করলে তিনি হাসপাতালের বড় কর্তাকে ফোন দেন। এদিন সকাল ১০টায় হাসপাতালে এলে অসহায় শিশুটির ভাঙা পা প্লাস্টার করে দেন ডাক্তার। শিশুর মা ইয়াসমিন জানান, গত শুক্রবার নাসিরনগরের কুন্ডা গ্রামে অটোরিকশাচাপায় বাম পা ভেঙে যায় প্রতিবন্ধী শাহিনের। জেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে দলের সম্পাদক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে প্লাস্টারসহ সহযোগিতা করার জন্য লিখেন। কাগজ নিয়ে আসার পর জরুরি বিভাগের কর্মচারীরা জানান, টাকা না দিলে প্লাস্টার হবে না। পরে তুলা দিয়ে ভাঙা পা কোনো রকম বেঁধে কয়েকটি ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তখনো তার পা থেকে রক্ত ঝরছিল। ঝুলছিল পা। ছেলের কষ্ট দেখে মা কাঁধে নিয়ে তিন দিন হাসপাতালে এসে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের কাছে আকুতি জানান। হাসপাতাল থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় টাকা লাগবে। এ ব্যাপারে হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. রানা নুরুস শামস বলেন, কেন ভাঙা পায়ে যথাসময় প্লাস্টার হয়নি খবর নেব।

সর্বশেষ খবর