শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

গাছে বিদ্যুতের তার মিটার সাইড লাইনের ছড়াছড়ি

রোকনুজ্জামান পারভেজ, শরীয়তপুর

গাছে বিদ্যুতের তার মিটার সাইড লাইনের ছড়াছড়ি

গাছে বিপজ্জনকভাবে লাগানো হয়েছে বিদ্যুতের লাইন ও মিটার Ñবাংলাদেশ প্রতিদিন

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিডেটের (ওজোপাডিকো) আওতাধীন জেলা শহরের চারটি ফিডারের জন্য ছয় দশমিক এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ রয়েছে। তা থেকে পৌর এলাকার বাইরে বিভিন্ন ইউনিয়নে খুঁটি ছাড়াই গাছের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলটি লাইন থেকে নতুন সংযোগ এবং এক মিটার থেকে একাধিক সাইড লাইন দিচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। খুঁটিবিহীন বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে রয়েছে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা। আসন্ন বোরো মৌসুমে সেচ কাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় কৃষকরা। শরীয়তপুর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার আংগারিয়া, রাজগঞ্জ, আটং ও শরীয়তপুর টাউন ফিডারগুলোর আওতায় গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুৎ চাহিদা সাত মেগাওয়াটের বেশি। সরবরাহ করা হচ্ছে ছয় দশমিক এক মেগাওয়াট। আর শীতকালীন চাহিদা পাঁচ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ চার মেগাওয়াটের কম। সরজমিনে দেখা গেছে, আংগারিয়া ফিডার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বাঁশ, খেঁজুর, কড়াইসহ বিভিন্ন গাছকে খুঁটি বানিয়ে আংগারিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শত শত পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আটং ফিডার থেকে কাগদি মূলাদি পৌরসীমান্তবর্তী ইউনিয়নগুলোতে দেওয়া হয়েছে কয়েকশ অবৈধ সংযোগ। এক একটি মিটার থেকে বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করে ২০-৫০টি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার কোনো বাড়িতে একাধিক মিটার বসিয়ে তা থেকে টানা হয়েছে সাইড লাইন। কাগদির সরদার বাড়ির একটি রেইনট্রি গাছে দুটি মিটার বসিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কয়েকটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। আংগারিয়া ইউনিয়নের চরচটাং গ্রামের সুমন বলেন, ‘গাছের সঙ্গে এবং বাঁশ দিয়ে আমরা কারেন্টের লাইন আনছি। এগুলি ঝুঁকির লাইন, মানুষ মারাও যাইতে পারে।’ কাগদি গ্রামের কলেজছাত্র স্বাধীন বলেন,  বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এই এলাকা থেকে শত শত অবৈধ সংযোগ দিয়েছে পার্শ্ববর্তী রুদ্রকর ইউনিয়নে। এতে আমরা ন্যায্য বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’ বোরো চাষী মিজানুর বলে ধান লাগানের সময় কারেন্ট ঠিক মতো পাই না। এই বছর ধান লাগানের আগে কারেন্ট ঠিক না করলে আমরা বিপদে পোরুম। ফাও কারেন্টের লিগ্যা আমাগো ধান চারা পানি পায় না।’ শরীয়তপুর ওজোপাডিকোলি নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল ওয়াহাব বলেন, খুঁটিবিহীন এলটি লাইন আছে বলে আমার জানা নেই। আর অবৈধ সাইড লাইন থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

সর্বশেষ খবর