শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

যুবলীগের কমিটি ঘোষণার পরই অশান্ত চুয়াডাঙ্গা

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

যুবলীগের কমিটি ঘোষণার পরই অশান্ত চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে একের পর এক সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। দুই মাস আগে জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণার পর থেকে দীর্ঘদিনের এ কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। দুই গ্রুপের কোন্দলের কারণে গত সোমবার জীবন দিতে হয়েছে এক যুবলীগ কর্মীকে। আহত হয়েছেন বেশকিছু নেতা-কর্মী। এসব কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগেই মঙ্গলবার দুমাস আগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর জেলা যুবলীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওবায়দুর রহমান চৌধুরী ওরফে জিপু চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও জিল্লুর রহমান ওরফে জিল্লুকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় কমিটি আরেফিন আলম রঞ্জুকে আহ্বায়ক ও আসাদুজ্জামান কবিরকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটি আর পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। তার আগেই ১১ বছর পর কেন্দ্রীয় কমিটি আরেকটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই যুবলীগের দুই গ্রুপের প্রকাশ্য তৎপরতায় অশান্ত হয়ে উঠে চুয়াডাঙ্গা। নতুন আহ্বায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে জিপু চৌধুরী গ্রুপের নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল করে বিভিন্ন এলাকায়। অন্যদিকে যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার গ্রুপ কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। দুই গ্রুপ শহরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যেই তারা জড়িয়ে পড়ে হামলা সংঘর্ষে। দুই মাস ধরে যুবলীগের দুই গ্রুপের শান্তিপূর্ণ কিছু সমাবেশ ও শোডাউনের পাশাপাশি হামলা-পাল্টা হামলা ঘটনার সবশেষটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায়। এদিন সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন যুবলীগ কর্মী আজিজুল ইসলাম। এ ঘটনার জেরেই কেন্দ্রীয় কমিটি বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে বলে একাধিক সূত্রের দাবি।

সর্বশেষ খবর