রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

টুঙ্গিপাড়ায় মনোনয়ন যুদ্ধ

আমিনুল হাসান শাহীন, গোপালগঞ্জ

টুঙ্গিপাড়ায় মনোনয়ন যুদ্ধ

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া পৌর সভার নির্বাচনে মেয়র পদে যে চারজনের মধ্যে মনোনয়ন যুদ্ধ বেশি হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন, তারা হলেন ১৯৯৭ সালের ১০ জানুয়ারী টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে যিনি নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমান মেয়র ইলিয়াছ হোসেন সরদার, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উল্লিখিত জাতির পিতার ঘনিষ্ট বন্ধু পাটগাতির মানিক মিয়ার ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মো. লায়েক আলী বিশ্বাসের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, বাংলদেশ মুক্তিযোদ্ধালীগের সভাপতি শেখ আহম্মদ হোসেন মীর্জা।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে আরো যারা প্রার্থিতার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালচ্ছেন তারা হলেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান বিশ্বাস, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ঢাকা বারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কাজী ইলিয়াসুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক বিশ্বাস, পাটগাতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বাবুল শেখ, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শেখ কামরুল ইসলাম টবা ও ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কাজী একলাচুর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান বলেন, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে দলের মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

যশোর পৌরসভা

সাইফুল ইসলাম, যশোর

যশোর পৌরসভা দেশের প্রাচীনতম পৌরসভা। ১৮৬৪ সালের ১৩ জুলাই বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর এ পৌরসভার ঘোষণা দেন। আর তা কার্যকর হয় ওই বছরের ১ আগস্ট থেকে। দেড়শ’ বছরের পুরনো এ পৌরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদুর রহমান টিটো, আলী রেজা রাজুর মতো রাজনীতিকরা দায়িত্ব পালন করেছেন।

এবারের পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই প্রধান দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। বিএনপি থেকে এখন পর্যন্ত মেয়র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মারুফুল ইসলামের নামই শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে এক ডজনেরও বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে। যে কারণে অন্যদের মতো গণসংযোগ চালাতে পারছেন না তিনি।

এদিকে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চার নেতা। যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান চুন্নু, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ও পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত তিনবারের কাউন্সিলর রোকেয়া পারভীন ডলি দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর