শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ভাটায় যাচ্ছে মাটির উপরিভাগ জমি হারাচ্ছে ঊর্বরতা

আজাহারুল ইসলাম রাজু, ধামরাই

ভাটায় যাচ্ছে মাটির উপরিভাগ জমি হারাচ্ছে ঊর্বরতা

ধামরাইয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকার ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির টপসয়েল (উপরিভাগের মাটি) কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এতে আবাদি জমি হারাচ্ছে ঊর্বরতা। কমছে ফসল উৎপাদন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ভাটামালিকরা কৃষকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছেন। সব দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন। সরজমিনে দেখা গেছে, ধামরাইয়ের বাথুলি, কাওয়ালিপাড়া, মাদারপুর, কাওয়াখোলা, কুল্লা, কালামপুর, বড়নারায়পুর, বাসনা, দেপাসাই, জয়পুরা, ফুকুটিয়া, ধলকুণ্ড, জালসা, কুশুরা, নান্নার, শুয়াপুরসহ শতাধিক স্থানে ফসলি জমিতে বসানো হয়েছে ভেকু মেশিন। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এসব মেশিন দিয়ে মাটির উপরিভাগ কেটে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। জমির মালিকরা না বুঝেই টাকার লোভে ভাটামালিকদের কাছে বিক্রি করছেন মাটি। এতে যে জমির ঊর্বরাশক্তি কমে যাচ্ছে স্থানীয় কৃষি অফিস এ ব্যাপারে সচেতন করছেন না কৃষকদের। কৃষিবিদরা বলছেন, মাটির উপরিভাগ বিক্রি করা জমির ঊর্বরতা ফিরে পেতে ১০-১২ বছর সময় লেগে যাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধামরাইয়ের এক ইটভাটার মালিক জানান, কোনো কৃষক তার ফসলি জমির মাটি বিক্রি করা অর্থ নিজের ক্ষতি করা। তিনি বলেন, ধামরাইয়ে প্রায় ১৭০টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটায় ইট তৈরির জন্য বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি থেকেই সংগ্রহ করা হচ্ছে মাটি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুক্তা আক্তার বলেন, ‘সরকারি নিয়ম না মেনেই ধামরাইয়ে অনেক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ভাটার জন্য মাটি প্রয়োজন। তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের জমির টপসয়েল তারা নিচ্ছে।

এটা বন্ধ করার ক্ষমতা আমাদের নেই।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন চাষাবাদের পর একটি জমি যখন ঊর্বরাশক্তি পায় তখন ছোবল পড়ে ইটভাটা মালিকদের। জমির মাটি বিক্রি বন্ধে ধামরাইবাসীকে একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ করা উচিত। এ ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর