রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জবানবন্দি দিয়ে মারা গেলেন স্বামীর আগুনে দগ্ধ সোনিয়া

বাগেরহাট প্রতিনিধি

শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার নয় দিন পর মারা গেলেন গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার (২০)। বাগেরহাটের কচুয়ায় বাবার বাড়িতে গতকাল ভোরে তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেন তিনি। সোনিয়া কচুয়া উপজেলার গোপালপুরের ভ্যানচালক মোজাহারের মেয়ে ও ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ২৬ নভেম্বর পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার রাজপাশা গ্রামে স্বামী মন্টু তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বলে দাবি স্বজনদের।

সোনিয়ার বাবা জানান, মুঠোফোনে সম্পর্ক সূত্রে ৫/৬ মাস আগে ভাণ্ডারিয়ার রাজপাশা গ্রামের রজব আলীর ছেলে দুই সন্তানের জনক মন্টুর সঙ্গে পরিবারের অজান্তে সোনিয়ার বিয়ে হয়। তারা কিছুদিন ঢাকায় অবস্থান করে। পরে সোনিয়া মন্টুর বাড়ি গিয়ে জানতে পারে তার আগের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে ২৬ নভেম্বর মন্টু সোনিয়ার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সোনিয়াকে প্রথমে ভাণ্ডারিয়া হাসপাতাল, সেখান থেকে বরিশাল মেডিকেলে ও পরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। সোনিয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা তার বাঁচার আশা ছেড়ে দেন। অর্থাভাবে চিকিৎসা চালাতে না পেরে তিনি সোনিয়াকে বাড়ি নিয়ে আসেন। শুক্রবার মেয়েটির জবানবন্দি গ্রহণ পুলিশ।

সর্বশেষ খবর