রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আজ হানাদারমুক্ত যে জেলা-উপজেলা

প্রতিদিন ডেস্ক

আজ ৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। দিবসটি পালনের লক্ষ্যে বিভন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর-

যশোর : ৬ ডিসেম্বর দেশের প্রথম জেলা হিসেবে হানাদারমুক্ত হয় যশোর। পাকবাহিনীর লে. কর্নেল শামস নিজের ব্রিগেড নিয়ে এ দিন রাতের আঁধারে গোপনে যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে খুলনার দিকে পালিয়ে যান। ঝিনাইদহ : এই দিনে মিত্র, মুক্তি ও মুজিব বাহিনী যৌথভাবে ঝিনাইদহ মুক্ত ঘোষণা করে। এর আগে ওই দিন শৈলকুপা বাজারে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তি ও মুজিব বাহিনীর যুদ্ধে ৬০ রাজাকার ও ১৩ পাক সেনা মারা যান। ফেনী : পাকবাহিনী ফেনীর সব সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে ৫ ডিসেম্বর রাতে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় ফেনী। জেলায় আটটি বধ্যভূমি চিহ্নিত হলেও কেউ এর সংরক্ষণে এগিয়ে আসেনি। কুড়িগ্রাম : টানা ৬ দিনের সম্মুখযুদ্ধে ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীকে পরাজিত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর হাতে দুজন মুক্তিযোদ্ধা ও শিশুসহ ৩০-৩৫ সাধারণ মানুষ শহীদ হন।

লালমনিরহাট : ৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তির শ্লোগান দিয়ে লালমনিরহাটে বিজয় পতাকা উড়ান। হানাদাররা নির্বিচারে শুধু হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ক্ষ্যান্ত হননি, নারী-শিশুদের পৈশাচিক নির‌্যাতন করে হত্যা করেছিল। দিনাজপুর : এই দিনে বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ ও বিরামপুর উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। বোচাগঞ্জ-বিরামপুরে শহীদ হন ২৯ মুক্তিযোদ্ধা। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন অনেকে। এতদিনেও জেলায় স্মৃতিস্তম্ভ বা শহীদের নামফলক নির্মিত হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আখাউড়া শুত্রুমুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। মুক্তিযোদ্ধারা ওই দিন সড়ক বাজারের পোস্ট অফিসের সামনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। শ্রীমঙ্গল : ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণের মুখে মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল ছেড়ে পালায় পাকবাহিনী। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির আনন্দ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর