শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে বিএনপিকে জামায়াতের সমর্থন

রাজশাহীতে বিএনপিকে জামায়াতের সমর্থন

রাজশাহী জেলার ১১টি পৌরসভায় বিএনপিকে কৌশলে সমর্থন দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াত সূত্র জানায়, ২০ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে বিএনপিকে জামায়াত সব রকম সহযোগিতার সমর্থন দিচ্ছে। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু জানান, সরকারের দমনপীড়ন নীতির বিরুদ্ধে এ নির্বাচন। ফলে জোটের শরিকরা এক হয়ে কাজ করবেন। তবে জামায়াতের সমর্থন পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। রাজশাহী বিএনপির একটি সূত্র জানায়, জামায়াত নেতারা প্রকাশ্যে মাঠে আসতে না পারার কারণে প্রার্থী নিয়ে তারা বিএনপির সঙ্গে কোনো দরকষাকষি করেনি। সব পৌরসভাতে তারা বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে। ২০ দলের অন্য শরিকরাও তাদের জন্য কাজ করছেন। সূত্র জানায়, রাজশাহীর চারঘাট, গোদাগাড়ী ও কেশরহাটে জামায়াতের প্রার্থী আছে। তারা স্বতন্ত্র হিসেবে নিজেদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে গোদাগাড়ী পৌরসভার বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলামও আছেন। গোদাগাড়ীতে আমিনুল ইসলামকে ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে।

—নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ত্রিশাল-ফুলপুরে আওয়ামী লীগে কোন্দল

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দখলে থাকা দুই পৌরসভায় হঠাত্ করেই মনোনয়ন পরিবর্তন হওয়ায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এতে করে নিজেদের দখলে থাকা দুই পৌরসভা এবার হাতছাড়া হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। জানা গেছে, ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন বর্তমান মেয়র এবিএম আনিসুজ্জামান। গত ৫ বছরে আনিস রেকর্ড উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করলেও এবার এ পৌরসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে স্থানীয় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জুয়েল সরকারকে। নানা বিতর্কের কারণে জুয়েলের মনোনয়ন মানছেন না দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তারা আনিসের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের দখলে থাকা এ পৌরসভা এবার নিজের কব্জায় নিতে পারেন বিএনপির একক প্রার্থী আমিন। ফুলপুর পৌরসভায় বর্তমান মেয়র মো. শাহজাহানকেও এবার মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। তার স্থলে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শশধর সেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মেয়র শাহজাহান। ক্ষমতাসীনদের এ কোন্দলের সুযোগের বিপরীতে একক প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ খানসহ একাধিক নেতার মুঠোফোনে বার বার কল দিয়েও বন্ধ পাওয়া গেছে।  —ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের চার প্রার্থী

পৌরসভা নির্বাচনে বরগুনায় স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের চারজন কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের শেষ দিনে ৪ জনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর ফারম্নক সিকদার, তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম, তার ভাগ্নী ফরিদা বেগম ও ভাতিজা নজরম্নল ইসলাম বাবু। তারা সকলেই বরগুনা পৌরসভার  ৯ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ বিষয়ে বর্তমান কাউন্সিলর ফারম্নক সিকদারের সাথে কথা বললে তিনি তার পরিবারের ৪ জন সদস্য কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জনগনের দাবীর প্রেড়্গিতে আমার পরিবারের চারজন প্রার্থী হয়েছে তবে আমি আশাবাদী সবাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আমার হয়ে কাজ করবে। —বরগুনা প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জে অনড় বিএনপির বিদ্রোহী

কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী হাজী ইসরাইল মিয়া নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে তার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দল থেকে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার মনোনয়ন ছিনতাই হয়ে গেছে। এ সময় তার অনুসারী কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।—কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

গাড়ি চুরির মামলায় মেয়র প্রার্থী জেলে

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সোমনাথ দেকে গারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। ঢাকার ওয়ারী থানায় ডিবি পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় জামিন নিতে গতকাল তিনি উচ্চ আদালতে হাজির হন। বিজ্ঞ আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে তার স্ত্রী সবিতা দে জানান, পরিচিত এক বন্ধুর নিকট থেকে একটি প্রাইভেট কার কেনার পরে কিছু টাকা বাকি ছিল। ওই টাকা পরিশোধ করার পরও একটি মহলের ইন্ধনে মেয়র প্রার্থী সোমনাথ দের বিরুদ্ধে গত ৪ ডিসেম্বর ওয়ারী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। —মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি

সর্বশেষ খবর