শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সুন্দরবনে তিন দিনের ব্যবধানে আরও ১০০ জেলে অপহরণ

বনদস্যু জাহাঙ্গীর ও নয়ন বাহিনীর তাণ্ডব

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে তিন দিনের ব্যবধানে আবারো জেলে অপহরণ করেছে দুটি বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা। বনদস্যু জাহাঙ্গীর ও নয়ন বাহিনী বুধবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল ভোর রাত পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে ১০০ জেলেকে মুক্তিপণ দাবিতে তুলে নেয়। অপহৃত জেলেদের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী, রায়েন্দা ও ধানসাগর ইউনিয়নে বলে মহাজনরা জানিয়েছেন। এর আগে গত সোমবার রাতে নয়ন বাহিনী শরণখোলা ও ধানসাগর এলাকা থেকে ৪০ জেলেকে অপহরণ করে। তারা এখনও ওই বাহিনীর হাতে জিম্মি। তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করেছে দস্যুরা। ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে সাউথখালী ইউনিয়নের কয়েক মহাজন জানান, তাদের ইউনিয়নের শতাধিক জেলে শরণখোলা রেঞ্জ মরাভোলা, বড়সির খাল, আলীবান্দা, জহরমনি, টাকার খাল, তালবাড়িয়া এলাকায় কাঁকড়া আহরণ করতে যান। তারা নৌকায় অস্থানকালে বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর ১৫-২০ সদস্য বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে জেলে বহরে হানা দিতে শুরু করে। দস্যুরা অর্ধশতাধিক নৌকা থেকে ৭০ জেলেকে তুলে নেয়। অপরদিকে, রায়েন্দা ও ধানসাগর ইউনিয়নের জেলেরা কাঁকড়া আহরণ করছিলেন চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের তাম্বলবুনিয়া, শান্তিরখাল ও নিশাণবাড়িয়া এলাকার বিভিন্ন খালে। একই রাতে নয়ন বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের এসব নৌকায় হানা দিয়ে ৩০ জেলেকে অপহরণ করে বলে ওই এলাকার মহানজনরা নিশ্চিত করেছেন। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে একের পর এক অপহরণের ঘটনায় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এসব জেলের মহাজনরাও বনদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ এবং লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এখন হতাশায় ভুগছেন। এ অবস্থায় বনদস্যু দমনে প্রশাসনকে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। পূর্ব সুন্দরবনের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জেলে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে। মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মেহেদী মাসুদ জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে সুন্দরবনে তাদের অভিযান শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর