বগুড়ার শেরপুরে বাঙালি নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে উপজেলার জোরগাছায় শুরু হয়েছে ভাঙন। কয়েকটি বসতবাড়ি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে ২০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঙালি নদীর ওপর নির্মিত বেলগাছি সেতু।
বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে যে কোনো সময় বেলগাছি সেতুসহ আশপাশের অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ও শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীর পেটে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বালু উত্তোলন বন্ধে গত ৩০ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদনও করেছেন তারা।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার জোরগাছা এলাকায় বাঙালি নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে স্থানীয় রঞ্জু মিয়া দীর্ঘদিন থেকে বালু উত্তোলন করছেন। রঞ্জু তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কিছুদিন আগে তিনি বালু উত্তোলন করলেও বর্তমানে কোনো ধরনের বালু উত্তোলনের সঙ্গে নেই। তবে শুনছি সরকারিভাবে বালু মহাল ইজারা দেওয়া হবে। মহালটি ইজারা নিতে পারলে তখনই বালু উত্তোলন করব।’ স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পর সেতুটি নির্মিত হয়েছে। এর আগে এই অঞ্চল ছিল অবহেলিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল একেবারেই বেহাল। ৪-৫ বছর আগে বাঙালি নদীর উপর সেতুটি নির্মিত হলে সবক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোয়া লাগে। কিন্তু অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সেতুটি হুমকির মুখে রয়েছে। এভাবে বালুু উত্তোলন চলতে থাকলে বেলগাছি সেতু ও পুরো গ্রাম এক সময় নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।