কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালিয়ে লাশ দাফনে বাধাসহ সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মক আহত সেনা সদস্য রাশেদ তানভীর রুবেল মারা গেছেন। গতকাল ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কাশিনগর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের মো. হাবিবুল্লাহ ঢাকার একটি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। পরদিন সকালে তার স্বজনরা লাশ বাড়িতে আনার পর দাফনের প্রস্তুতিকালে পার্শ্ববর্তী অলিপুর গ্রামের ইয়াসিন মিয়া লোকজন নিয়ে তার লাশ দাফনে বাধা দেন। এ সময় ইয়াসিন দাবি করেন, তিনি হাবিবুল্লাহর ছেলে নজরুল ইসলামের কাছে সমবায় সমিতির ৮০ লাখ টাকা পাবেন। তার টাকা পরিশোধ না করলে লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ইয়াসিন তার লোকজন নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ হামলার সময় মৃত হাবিবুল্লার ছেলে সেনা সদস্য তানভীরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তানভীরকে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তির পর গতকাল তিনি মারা যান। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ফরহাদ হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় মামলা হয়েছে, সেনাসদস্য তানভীরের মরদেহ ময়নাতদন্তসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ গ্রামের বাড়িতে আনা হতে পারে। উল্লেখ্য, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত সৈনিক তানভীর ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। তার ৬ মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।