সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বরেন্দ্রর গভীর নলকূপ স্থাপন নিয়ে উত্তেজনা

নলকূপে সেচ খরচ শ্যালোর দ্বিগুণ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার আস্করনগর গ্রামে বরেন্দ র গভীর নলকূপ স্থাপন নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে এলাকায় অধিপত্য বিস্তারকারী কয়েকজনের যোগসাজশে তাদের নির্ধারিত স্থানে নলকূপ বসান বরেন্দ  কর্তৃপক্ষের জনৈক প্রকৌশলী। আর গভীর নলকূপে সেচ খরচ শ্যালোর প্রায় দিগুণ। জানা গেছে, আস্করনগর গ্রামে বিদ্যুত্ সংযোগ না থাকায় কৃষকরা নিজ ব্যবস্থাপনায় ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে বিঘাপ্রতি ১৩০০-১৫০০ টাকায় জমিতে সেচ দিয়ে আসছেন।

এলাকার এক প্রভাবশালী সম্প্রতি ভূমিহীনদের জমির মালিক সাজিয়ে ৩১ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকা  বরেন্দ্রেতে জমা দিয়ে নিজ জমিতে গভীর নলকূপ বসানোর ব্যবস্থা করেন। নিয়ম অনুযায়ী এলাকায় বরেন্দ্রর নলকূপ চালু থাকলে তার চারদিকে এক হাজার ১৮২ ফুটের মধ্যে অগভীর বা ডিজেলচালিত মেশিন চালানো যাবে না। পরবর্তীতে বৈদ্যুতিক সেচেরও অনুমোদন পাবেন না। এই মর্মে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০৮ সালে ৪ ডিসেম্বর কৃষি বিভাগে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। প্রকৃত কৃষকরা জানান, বরেন্দ্র আওতাভুক্ত হলে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। কারণ বরেন্দ্রর গভীর নলকূপ থেকে সেচ নিতে বিঘাপ্রতি ১৩০০-১৫০০ টাকার স্থলে অতিরিক্ত ২০০০ টাকার অধিক দিতে হবে।

এ অবস্থায় গভীর নলকূপ বসানো ঠেকাতে কৃষকরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিলসহ কৃষক আজিজুল হক আদালতে একটি মামলা করেছেন। বরেন্দ্রর প্রকৌশলী রেজাইল করিম জানান, নিয়ম মেনেই সেখানে গভীর নলকূপ বসানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট রামখানা ইউপি সচিব জানান, গভীর নলকূপ বসালে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ সরকারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০১৮ সালের মধ্যে প্রত্যেক গ্রামে বিদ্যুত্ সংযোগ চালু হবে। বিদ্যুত পেলে এ খরচ কমিয়ে ৩৫০-৫০০ টাকায় নামবে।

সর্বশেষ খবর