বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বড়পুকুরিয়ার কয়লার দাম দুই দফা কমালেও ক্রেতা মিলছে না

মজুদ নিয়ে বিপাকে খনি কর্তৃপক্ষ

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে এক মাসের মধ্যে টনপ্রতি কয়লার মূল্য দুদফা কমানোর পরও মিলছে না ক্রেতা। এতে খনি চত্বরে কয়লার বিপুল মজুদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। গত ইটভাটা মৌসুমে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে কয়লার চাহিদা বেশি থাকায় বড়পুকুরিয়ার প্রতিটন কয়লা বিক্রি হয়েছে ১৩ হাজার ৬৮০ টাকায়। আর আমদানি করা নিম্নমানের (অধিক সালফারযুক্ত) কয়লার টনপ্রতি মূল্য ছিল ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। এ বছর ইটভাটা মৌসুমের শুরু থেকে বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লার মূল্য কম থাকায় (প্রতিটন ৭ হাজার ৮০০ টাকা) এর সঙ্গে মিল রেখে বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ গত ২৯ নভেম্বর প্রতিটন কয়লার দাম দুই হাজার ৬৮০ টাকা কমিয়ে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ১১ হাজার নির্ধারণ করে। এতেও গ্রাহকদের কাছ থেকে ভাল সাড়া না মেলায় ২৫ ডিসেম্বর কয়লার দাম আরেক দফা কমিয়ে ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। কয়েকজন ভাটামালিক জানান, প্রায় দুই মাস আগে ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু হয়েছে। প্রতি মৌসুমের শুরুতেই ভাটামালিকরা চাহিদামতো কয়লা কিনে মজুদ রাখেন। এখন ইট পোড়ানোর মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। শুরুতে কয়লার দাম কমানো হলে প্রচুর বিক্রি হতো। কয়লা খনিতে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, কোল ইয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার বেশি কয়লা মজুদ থাকায় স্তূপে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায়ই অণ্ডিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুজ্জামান জানান, বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লা অপেক্ষা বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা অনেক উন্নত ও সালফারের পরিমাণ কম। সে কারণে এখানকার কয়লা উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লাসহ সব ধরনের জ্বালানির মূল্য কমে যাওয়ায় আমরাও কম দামে কয়লা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বর্তমানে খনিচত্বরে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর