বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

লামার ইয়াংছা বাঁকে ২৮ দুর্ঘটনা

২০১৫ সাল

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান)

লামা উপজেলার চকরিয়া-লামা সড়কে ইয়াংছা বাঁকে চলতি বছরে ২৮ বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটক, মালবাহী ও যাত্রী পরিবহন গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয় বাঁকটিতে। প্রাণ হারায় ১৬ জন। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।

জানা গেছে, বাঁকটিতে চলতি বছরে সার ও মালবাহী ট্রাক ৩, তামাকবাহী ট্রাক ৫, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শিশুখাদ্য বহনকারী কার্গো ট্রাক ১, জিপ ৪ ও বাস ২, সিএনজি মাহেন্দ্র ৬ এবং ৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হয়। অতিমাত্রায় যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানায় এলাকাবাসী। ইয়াংছা বাঁকে গত ফেব্রুয়ারিতে এক মোটর সাইকেলচালক ও মিনি পিকআপ গাড়ির ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হন। এপ্রিলে  বাসের ধাক্কায় এক আইসক্রিম বিক্রেতাসহ প্রাণ হারান দুজন। জুলাইয়ে ট্রাক উল্টে ড্রাইভার হেলপারসহ প্রাণ হারান দুজন। মাহেন্দ্র-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান তিনজন। সর্বশেষ ১৭ ডিসেম্বরে ভোরে ট্রাক উল্টে প্রাণ হারান সাত শ্রমিক। লামা, চকরিয়া ও আলীকদম বাস মালিক সমিতির সভাপতি নুর  হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে ইয়াংছা বাঁকে ২৮ বার গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে। লামা, চকরিয়া ও আলীকদম জিপ মালিক সমিতির সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিপজ্জনক এই মোড়টিতে প্রতিনিয়ত ট্রাক, বাস, জিপ, মাইক্রোবাস, কার ও সিএনজি দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের উদাসীনতার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। বাঁকে আগে ও পরে স্পিড ব্রেকার না থাকায় এবং রাস্তার দুপাশের গাছের ডাল-পালা, ঝোঁপ-জঙ্গল না কাটার কারণে বার বার ঘটছে প্রাণহানি। ইয়াংছা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ত্রিপল চাকমা বলেন, অন্য জায়গার চালকরা এখানে দুর্ঘটনার শিকার হন। লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনা রোধে রাস্তার ট্রাফিক চিহ্নগুলো সংযুক্ত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ বলেন, মোড়ে হর্ন বাজান সাইনবোর্ড ও আয়না দিয়ে বিপরীত দিকের গাড়ি সহজে দেখতে আয়না স্থাপন করা হবে। এছাড়া সওজ অধিদফতরকে রাস্তা প্রশস্ত করতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর