শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

তিস্তায় হঠাৎ পানি, বাড়ছে সেচের আওতা

লালমনিরহাট ও নীলফামারী প্রতিনিধি

তিস্তায় হঠাৎ পানি, বাড়ছে সেচের আওতা

হঠাৎ উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজের ক্যানেল পানিতে ভরে উঠেছে। ছবিটি গতকাল তোলা

তিস্তা নদীতে উজান থেকে ঢল নেমেছে। শুকিয়ে থাকা তিস্তায় হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নব যৌবনে ফিরে আসছে তিস্তা নদী। নদীজুড়ে চলছে স্রোতধারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড গতকাল জানায়, গত ৭ দিন দুই হাজার কিউসেকের উপরে পানি প্রবাহ চলছে তিস্তা নদীতে। গতকাল পানি প্রবাহ বেড়ে প্রায় ৩ হাজার কিউসেকে। হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে কৃষকের হাসির ঝিলিক ফুটেছে। শুষ্ক মৌসুমে এ ধরনের পানি প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ৬০ হাজার  হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। গতকাল পর্যন্ত লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় ২৬ হাজার হেক্টর জমি সেচ পেয়েছে। সূত্র মতে, গত বছর নদীতে পানি স্বল্পতার কারণে ৮ হাজার হেক্টর জমির বোরো ক্ষেতে সেচ দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।

চলতি শুষ্ক মৌসুমে গত দুই মাস নদীর পানির প্রবাহ চলে আসছিল ৩০০ থেকে ৬০০ কিউসেক। ফলে চলতি খরিপ-১ মৌসুমে মাত্র ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রেখে ৫ জানুয়ারি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সেচ কার‌্যাক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন। এক সপ্তাহ ধরে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেচ এলাকা বৃদ্ধির চিন্তা করছে পাউবো কর্তৃপক্ষ। তিন দিন থেকে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুর  জেলার পার্বতীপুর পর্যন্ত সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহ করছে।

সূত্র মতে, উজান থেকে যে পানি আসছে তা তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট বন্ধ রেখে সেচ ক্যানেলে নদীর পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি কারণে রংপুরের গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি জানান, এবার খরিপ-১ মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে  সেচ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু পানি বৃদ্ধির কারণে  সেচ দেওয়া যায় ২৬ হাজার হেক্টরে। উজানের পানি বৃদ্ধি ও প্রাপ্তিতা ভালো হলে চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে  সেচ দেওয়া সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর