সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

নিজস্ব ভবন না থাকায় যত সমস্যা

বেনাপোল পোর্ট থানা

বকুল মাহবুব, বেনাপোল

থানা আছে, কাজ আছে, আছে জনবল। নেই শুধু নিজস্ব ভবন। ছয় মাসের জন্য অস্থায়ী কার্যালয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার কার্যক্রম শুরু হলেও একযুগ পরও এর নিজস্ব ভবন গড়ে ওঠেনি। ২০০১ সালে ৫ এপ্রিল তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বন্দরসহ বেনাপোল, বাহাদুরপুর ও পুটখালি ইউনিয়ন নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার উদ্বোধন করেন। তখন নিজস্ব জমি ও ভবন না থাকায়, বেনাপোল বন্দরের অভ্যন্তরে জরাজীর্ণ একতলা বাড়িতে শুরু হয় থানার কার্যক্রম। একই অবস্থায় এ থানার কার্যক্রম চলছে আজও। একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে দেড় লাখ লোকের বাস। থানার গুরুত্ব বাড়ায় এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দুজন ইন্সপেক্টর, আটজন এসআই, পাঁচজন এএসআই, নয়জন মহিলাসহ ৩৯ পুরুষ সিপাহী। একতলা ভবনে টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দ্বিতীয় তলায় পুলিশ ব্যারাক। রোদ, বৃষ্টি আর শীত ব্যারাকে থাকা মানুষগুলোর নিত্যসঙ্গী। বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয় পুলিশের পোশাক-পরিচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। বর্ষার সময় থানার ভিতরে জমে থাকে হাঁটুপানি। ব্যারাকে জায়গা না থাকায় গাদাগাদি করে থাকতে হয় পুলিশ সদস্যদের। অনেকে থাকেন ভাড়া বাড়িতে। সেক্ষেত্রে মহিলা সিপাহীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। ফলে পুলিশ কর্মকর্তা-সিপাহীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। নেই পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা গারদখানা। একই টয়লেট ব্যবহার করেন পুলিশ ও আসামিরা। পর্যাপ্ত জনবল থাকার পরও কেবল সুযোগ সুবিধার অভাবে পুলিশ, আসামি ও থানায় আসা সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় এ থানার কোনো নিজস্ব কার্যালয় বা পুলিশ ব্যারাক না থাকায় আমি নিজেই ভাড়া বাসায় থাকি। থানার অন্য অফিসাররাও থাকেন ভাড়া বাসা-বাড়িতে। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম।’ পোর্ট থানার নিজস্ব জমি ও ভবনসহ ব্যারাক নির্মাণে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

সর্বশেষ খবর