সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঝিনাইদহের গ্রামে গরু চুরির হিড়িক, আতঙ্ক

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের গ্রামে কয়েক মাস ধরে একের পর এক হালের গরুসহ গাভি গরু চুরি হয়ে যাচ্ছে। অঞ্চলভিত্তিক পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও কাজে আসছে না। জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় ৬৭টি ইউনিয়নে ১ হাজার ১৪৫টি গ্রাম আছে। প্রতিদিন কোনো না কোনো গ্রামে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। চোরের উপদ্রবে কৃষকের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

জানা গেছে নিকট অতীতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাজরা গ্রামের শুকুর আলী, আশাদুল ইসলাম, দাউদ হোসেন, মক্কেল মন্ডল, শাহিনুর রহমান, ডাবলু, একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কাজী মন্ডল, বিদ্যুত্ মিয়া, মিজার, আইয়ূব ধনী, বংকিরা গ্রামের শফি উদ্দীন বিশ্বাস, মজো মন্ডল, আশোক দাস, জহুরুল ইসলাম, রতন দাস, আফান উদ্দীন, গোলাম রহমান, চেনা ডাক্তার, আরমান মিয়া ও মহিউদ্দীনের গরু চুরি হয়েছে। বংকিরা গ্রামের শফি বিশ্বাসের এক রাতে পাঁচটি ও আরমানের ২টি গরু চুরি হয়। সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের জহুরের ছেলে মিজানুর ও গোপালের গরু চুরি হয়েছে। সদর উপজেলা ছোট ঝিনাইদহ গ্রামের ইদু মিয়া, আবুল হোসেন, লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবদর আলী, আইয়ুব হোসেন, আব্দুর রশিদ ডাক্তার, মহিদুল ইসলাম, লুত্ফর রহমান ও পচা মিয়াসহ গান্না ইউনিয়ন থেকে সম্প্রতি ২২টি গরু চুরি হয়েছে। এসব গরুর মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা হবে। সদর উপজেলার পোতাহাটী গ্রামের ওয়াছেল ডাক্তার ও হাফিজুর রহমানের গরু চুরি হয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলার কলাগাছী গ্রামের সবুজ কর্মকার, একই উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের হারুন, নজির মন্ডল ও মতিয়ার রহমানের গরু চুরি হয়েছে। সদর উপজেলার দইঝুড়ি গ্রামের কামারুল, আব্দুল হাকিম ও অলিপ কুমারের পাঁচটি গরু চুরি হয়েছে। গোয়ালঘরে রাত কাটিয়েও গরু চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না।  সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, বেঁচে থাকার স্বপ্ন গরু চোরেরা মাটি করে দিচ্ছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, গান্না ও সাধুহাটী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে চোরের উপদ্রব বেড়েছে বলে শুনেছি। তিনি বলেন, সদর উপজেলায় মোট গ্রাম আছে ৩২৪টি। সে ক্ষেত্রে পুলিশ ক্যাম্প আছে মাত্র ৯টি। এখানে গরু পালকদের সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি রাতে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি অচিরেই গরু চুরি বিষয়ে পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিবেন।

সর্বশেষ খবর