কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চলে নির্মিত ২০ শয্যার ৪টি হাসপাতাল প্রায় এক যুগ ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এ গুলো জনগণের কোনো কাজে আসছে না। ২টি মাঝে মধ্যে খোলা হয়, কার্যক্রম না চলায় বাকি দুটির দরজা জানালা চুরি হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালগুলো এখন ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালগুলো হচ্ছে, সদর দক্ষিণ উপজেলার বাগমারা, বরুড়া উপজেলার সোনাইমুড়ি, চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ও দাউদকান্দি উপজেলার দোনারচর হাসপাতাল।
দাউদকান্দির দোনার চর হাসপাতালটির ২০০৬ সালে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। সেখানে নামে মাত্র বহির্বিভাগ চালু রয়েছে। পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স নেই। চান্দিনার মহিচাইল হাসপাতালটিরও ২০০৬ সালে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। সেখানে মাঝে মাঝে বহির্বিভাগ চালু করা হয়। প্রয়োজনীয় ডাক্তার-নার্স নেই। বরুড়ার সোনাইমুড়ি হাসপাতালটির কাজ ২০০২ সালে শুরু হয়। ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু হওয়া হাসপাতালের ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এক যুগ ধরে পড়ে থেকে সেটি এখন পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিণত হয়েছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার বাগমারা হাসপাতালটির ২০০৫ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১১ বছরে ৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু হাসপাতালটির কাজ সমপ্রতি শেষ হয়েছে।