সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের লাশ পৌরসভার পরিবহনে করে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামে পৌঁছলে গ্রামে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নিহত সবাই যুবলীগ কর্মী। এর মধ্যে মিঠু ও টুকু সহোদর। অন্যরাও তাদের চাচাতো ভাই। এরা হলো জান মোহাম্মদের ছেলে সোহরাব হোসেন, হাবেল খার ছেলে আনিসুর রহমান খা, লালু খার ছেলে তুফান ও ইউনুস খার ছেলে নজরুল। তাদের মৃত্যুতে মেহেরপুর জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ পৃথক পৃথকভাবে তিনদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। শুক্রবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে গ্রামের স্কুলমাঠে নামাজে জানাজা শেষে সোহরাব হোসেনকে পূর্ব পাড়ার গোরস্থানে এবং পাঠানপাড়া গোরস্থানে পাশাপাশি পাঁচজনকে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাশিদুল, হাসিবুল, মেছের আলী, রজব আলী ও মনার হোসেন খার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পাবনার একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা ‘কৌশিক পরিবহন’ নামের বাসে পিকনিক করতে মুজিবনগরে আসে। ফেরার পথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের চকশ্যামনগর নামক স্থানে পৌঁছলে মেহেরপুর থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্যাপন করে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীবাহী স্যালো ইঞ্জিনচালিত আলগামনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় আলগামনটি চলন্ত বাসের নিচে পিস্ট হলে চালক টুকু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত ১০ জনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজন মারা যায়।কেন্দ্রীয় যুবলীগের শোক : যুবলীগ কর্মীর মৃত্যুতে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন।