শিরোনাম
শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা
মুন্সীগঞ্জে মনোনয়ন বাণিজ্য

নব্যদের দাপটে বলি ত্যাগীরা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বলছেন, নব্যদের ক্ষমতা-দাপট এবং ব্রিফকেসভর্তি টাকার কাছে বলি হচ্ছেন ত্যাগী, পরীক্ষিত ও জনপ্রিয় প্রার্থীরা।

অভিযোগকারীরা জানান, সিরাজদিখান, শ্রীনগর, লৌহজংয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। এ অপকর্মে কলকাঠি নাড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহানা তাহমিনা। তাকে সহযোগিতা করছেন সাধারণ সম্পাদক লুত্ফর রহমান। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা, উপজেলা এবং সংশ্লিষ্ট ইউপির সভাপতি ও সম্পাদক মিলিয়ে ছয়জনকে নিয়ে কমিটি করার কথা। কিন্তু মুন্সীগঞ্জে ঘটেছে এর ব্যত্যয়। এই ছয়জনের সঙ্গে বাড়তিযুক্ত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহানা তাহমিনা। লৌহজং-টেউটিয়া ইউপির মনোনয়নপ্রত্যাশী লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফকির মো. আবদুল হামিদের ছেলে ফকির মো. আবু ফয়সাল নিপু জানান, তাকে জোর করে দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বৌলতলী ইউনিয়নে থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মালেক শিকদারকে (নব্য আওয়ামী লীগার) এবং খিদিরপাড়ায় সাবেক বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বেপারীকে দেওয়া হয়েছে মনোনয়ন। তিনি বলেন, ‘আমার ইউপির ২০ ভোটারের মধ্যে ১৬ জনকে আগের দিন ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আটকিয়ে রাখে। মনোনয়নের জন্য ভোট শুরুর ১৫ মিনিট আগে প্রতিপক্ষের লোকজনের পাহারায় তাদের ভোট কেন্দ্রে আনা হয়। তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট আদায় করা হয়েছে। লৌহজংয়ের কলমা ইউনিয়নের মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় যুবলীগের শিল্প বাণিজ্য উপ-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সাগর ফকির বলেন, কাগজে পছন্দের প্রার্থীর নাম লিখে কমিটির হাতে তুলে দিতে হয়েছে। ভোট গণনার সময় প্রার্থীকে রাখা হয়নি।

সর্বশেষ খবর