রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

ফরিদপুরে দুই খুন

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর পৌরসভার দুই পরিচ্ছন্নতা কর্মী মানিক জমাদ্দার ও ভরত জমাদ্দারকে খুনের কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। গত শুক্রবার ভোররাতে দায়িত্বরত অবস্থায় তাদের কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছিল। ফরিদপুর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিমউদ্দিন আহমেদ গতকাল জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ঘটনার ক্লু উদঘাটন এবং ঘাতকদের গ্রেফতার করা হবে। এই খুনের ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত মানিক জমাদ্দারের স্ত্রী টুম্পা রানী জমাদ্দার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পশ্চিম খাবাসপুরের মিয়াবাড়ী এলাকা থেকে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। আটককৃতরা স্থানীয় একটি নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিক বলে জানা গেছে। ওই রাতেই নিহত মানিক জমাদ্দারকে শহরের অম্বিকাপুর শ্মশানে সমাহিত করা হয়। আর ভরতের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের চৌকিপাড়ায় পাঠানো হয় এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে ফরিদপুর পৌরসভা ওইদিন বিকালে এক জরুরি সভা করে। পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথুর সভাপতিত্বে এ সভা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানেরও সিদ্ধান্ত নেয়। ফরিদপুর হরিজন সম্প্রদায়ের সভাপতি রিপন জমাদ্দার জানিয়েছেন, ঘটনার প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে সড়ক পরিচ্ছন্নতার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ রবিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। নিহত মানিকের স্ত্রী টুম্পা জমাদ্দার জানিয়েছেন, তার স্বামীকে হারিয়ে তিনি এখন দিশাহারা। ৪ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে কোথায় যাবেন, কি করবেন— কিছুই বুঝতে পারছেন না। নাটোরে লাশ নিয়ে মিছিল  : নাটোর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ফরিদপুরে দুই পরিচ্ছন্নতা কর্মী হত্যার প্রতিবাদে নাটোরে লাশ নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। গতকাল দুপুরে বাবার লাশের পাশে দাঁড়িয়ে পিতৃহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহত ভরত জমাদারের শিশুপুত্র আদেশ জমাদার।

সর্বশেষ খবর