ময়মনসিংহে দুই বন্ধুর মরাদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে খুন হয়েছেন যুবক। ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে দুই বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের পঞ্চম পিলারের কাছে পানির নিচ থেকে এ দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হচ্ছেন ইমন (১৯) ও সাজন (১৯)। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সোমবার দিবাগত রাতে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। মরদেহ দুটি ময়মনাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একজনের মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করার সময় আরেকটি মরদেহ ভেসে ওঠে। নিহত ইমন ও সাজন বন্ধু ছিলেন। ইমন পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। আর সাজন ব্রিজ মোড় এলাকায় হকারি করত। তারা দুজনই হাজী কাশেম আলী কলেজের বেড়িবাঁধ ঘেঁষে পেছনের বস্তিতে থাকত। নিহত সাজনের পিতা চেঙ্গু মিয়া (৫০) বলেন, ‘কাইল সকাল ১১টার দিকে আমার পোলাডা বাহির হইয়া গেছে। রাইতেও বাড়িত আইছে না। পরে অনেক খুঁজলাম। পাইলাম না। আমার পোলার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। কারে দোষ দিমু? কেমনে কী হইল জানি না।’
খাগড়াছড়ি : মহালছড়িতে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক দুর্বৃত্ত। হত্যার শিকার ছাত্রীর নাম আয়না মারমা (১২)। জানা যায়, সোমবার স্কুলে যাওয়ার পথে আয়নাকে প্রেমের প্রস্তব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে মংরে মার্মা নামে এক যুবক তাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। খবর পেয়ে ছাত্রীর বাবা মংহলাচাই মারমা ও এলাকাবসী আয়নাকে প্রথমে মহালছড়ি হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম পাঠান। সেখানে গতকাল ভোরে মারা যায় আয়না। টঙ্গী : টঙ্গীর মাছিমপুর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাতে রনি (২৫) নামের এক যুবক খুন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আনোয়ার হোসেন (২২) ও রাজুকে (২৩) আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। নিহতের লাশ গাজীপুরে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
