সোমবার, ৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাঁধ ভেঙে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত ভেসে গেছে ৪০০ ঘের

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

জোয়ারের পানির প্রবল চাপে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার পাঁচ গ্রাম। তলিয়ে গেছে প্রায় এক হাজার পরিবারের বসতবাড়ি ও চার শতাধিক মত্স্যঘের। উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের হিজলাখালি ও কোলা গ্রামের আক্কাজ সানার বাড়ির সামনে থেকে নদের প্রায় ২০০ হাত বাঁধ গতকাল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। মুহূর্তেই পানি ঢুকে পড়ে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা, হিজলদী ও শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, হাজরাখালি ও কলিমাখালি গ্রামে। স্থানীয়রা ওয়াজেদ, সঞ্জয়, জহুরুল ও ছাইফুল্লাহ জানান, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে শনিবার ভোরে হঠাৎ বাঁধে ধস নামলে লোকালয়ে প্রবেশ করতে থাকে পানি। নদীতে ভাটা শুরু হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলের নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক মানুষ বাঁশ ও মাটি দিয়ে বাঁধ সংস্কার শুরু করেন। কিন্তু দুপুরে জোয়ারের আঘাতে বাঁধটি আবারও ভাঙনের কবলে পড়ে। প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, প্রায় দুই কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কারের জন্য আগে থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের বার বার বলা হয়েছে। তারা বাঁধ মেরামতের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যে কারণে প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নবাসীর এই দুর্দশা। শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, কোলা বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত পাঁচটি গ্রামের মধ্যে তার ইউপির তিনটি গ্রাম রয়েছে। প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ে শ্রীউলাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভেঙে যাওয়া বাঁধটি এখনই সংস্কার না করলে পুইজালা, শ্রীউলা, আশাশুনি সদর, নাকতাড়া গ্রামও প্লাবিত হবে। বাঁধ ভাঙার পর পাউবোর কোনো কর্মকর্তা সারা দিনে ঘটনাস্থলে আসেননি বলেও অভিযোগ করেন আবু হেনা।

সর্বশেষ খবর