মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

সিরাজগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত ৩৫

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত ৩৫

অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত কিশোর

সিরাজগঞ্জে গবাদিপশুর রোগ অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মধ্যে। দুই সপ্তাহে শাহজাদপুর ও কামারখন্দে ৩৫ নারী-পুরুষ-শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু ও ছাগলের মাংস কাটা এবং খাওয়ায় এ রোগ দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর রোগতত্ত্ব গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি দল তিন দিন আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রাথমিকভাবে এটি অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) বলে নিশ্চিত করেছে।

আক্রান্তরা হলেন— কামারখন্দের জামতৈল গ্রামের সনেকা, বানী খাতুন, শাহিদা, সোহান, কছির, সাহেরা, আসান শেখ, লিলি, আর্জিনা, আদেল, জাকির, ছালাম, শফিকুল, হোসনেয়ারা, রুবেল, ছালেকা, রাবেয়া, রফিক ও আলম এবং শাহজাদপুরের চর কৈজুরী গ্রামের মোজাম্মেল, বিউটি, পূর্ব চর কৈজুরীর আজিম, বড় বাছড়ার সাইফুল, হাওয়া, হৃদয়, জয়পুর গ্রামের শফিক, সেলিম, জুয়েল, নাজমা, জাফর, পারুল, উজ্জ্বল, জহির ও মহির।

সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা ডা. ইমান আলী জানান, মাসখানেকের মধ্যে শাহজাদপুর কৈজুরী ইউনিয়নের ৩-৪টি গ্রামে স্থানীয়রা অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত কয়েকটি গরু-ছাগল জবাই করেন। ওই মাংস যারা কাটাকাটি করেছেন তারাই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। একইভাবে কামারখন্দের জামতৈলে পর পর তিনটি অসুস্থ গরু জবাই করে গোশত ভাগাভাগি করে নেন। এ মাংস যারা কাটাকাটি বা নাড়াচাড়া করেছেন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন তারাও। তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম আক্রান্ত এলাকায় কাজ করছে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করছে। এ ছাড়া জনগণকে সচেতন করার জন্য বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। ইমান আলী বলেন, স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর রোগতত্ত্ব গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধি দল আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছে এবং পরীক্ষার জন্য মাংস-মাটিসহ বিভিন্ন নমুনা নিয়ে গেছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আকতারুজ্জামান ভুইয়া জানান, এলাকাবাসী প্রাণিসম্পদ বিভাগের অগোচরে অসুস্থ গবাদিপশু জবাই করেছেন। ওই মাংস কাটাছেঁড়া ও যারা খেয়েছেন তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে অ্যানথ্রাক্স রোগ। তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের জেলাব্যাপী রিং-ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি চলছে। এ ছাড়া অসুস্থ প্রাণি জবাই ও খাওয়া বন্ধ, মৃত গরু ছয় ফুট মাটির নিচে পুঁতে রাখাসহ জনসচেতনতা তৈরিতে প্রশিক্ষণ, লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর