ফরিদপুর শহর ও কোতোয়ালি থানা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীর মধ্যে শুরু হয়েছে নানা অপপ্রচার। যা ব্যক্তিগত পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। কয়েক দিন ধরে ‘ফেসবুকে’ কয়েক নেতা এবং তাদের পরিবারকে জড়িয়ে করা হয়েছে বিভিন্ন মন্তব্য। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীর মঝে। জানা যায়, গত ৭ ও ১৫ মে ফরিদপুর শহর ও কোতোয়ালি যুবদলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন থেকে কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা হয়নি। এতে নেতাদের মাধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শহর ও কোতোয়ালি থানা কমিটির সভাপতি-সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় ক্ষোভের। যদিও সভাপতি প্রার্থীরা পদ পেতে লবিং অব্যাহত রেখেছেন। একে অপরকে ঠেকাতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করছেন বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় একটি গ্রুপ ‘ফেসবুকে’ কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে বিষোদাগারে নেমেছেন। শুধু নেতার নামেই নয়, তাদের পরিবারকে জড়িয়ে এমন সব কথা লিখছেন যাতে তারা ‘বিব্রতকর’ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা যুবদলের এক নেতা জানান, রাজনীতির মাঠে দেখা না গেলেও পদ পেতে কয়েক নেতা যেভাবে তত্পর রয়েছেন তা নজীরবিহীন। আন্দোলন-সংগ্রামে কোনো ভূমিকা না থাকলেও তারা এখন ‘বিরাট’ নেতা হিসেবে নিজেদের জাহির করার চেষ্টা করছেন। ওই সব নেতার ইন্ধনে তাদের সহযোগীরা ভুয়া আইডি খুলে যুবদলের কয়েক নেতার নামে যেসব মন্তব্য করছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

শহর যুবদলের এক সভাপতি প্রার্থী অভিযোগ করেন, আমাকে এবং আমার পরিবার নিয়ে যেভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে তাতে আমরা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এভাবে চলতে থাকলে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। ফেসবুকে ভুয়া আইডির মাধ্যমে নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক একেএম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘যুবদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটি চক্র এমনটি করছে। যারা এ কাজ করছে. তারা বিএনপি কিংবা যুবদলের কেউ নন। অন্যকোন দলের এজেন্ট হতে পারেন।’