শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে গিয়ে ভোগান্তি

চুক্তিবদ্ধ হয়েও টাকা নিচ্ছে না ৮ ব্যাংক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি জমা দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ। আটটি বেসরকারি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় এই ফির টাকা জমা নেওয়ার কথা থাকলেও নিচ্ছে মাত্র একটি ব্যাংক। ফলে গ্রাহকের টাকা জমা দিতে তিন থেকে চার দিন, কখনও আরও বেশি সময় লাগছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সড়কে পুলিশি ঝামেলা, আর কাগজপত্র তৈরি করতে গিয়ে ভোগান্তি— এই দুইয়ে নাভিশ্বাস মোটরসাইকেল মালিকদের। জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় পুলিশ কুষ্টিয়ায় রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল আটক অভিযান শুরু করলে বেড়ে যায় রেজিস্ট্রেশনের পরিমাণ। এ অবস্থায় মোটরসাইকেল মালিকরা রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, এসআইবিএল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট্র ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের স্থানীয় শাখার সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ যানবাহনের সব ধরনের ফি জমা নেওয়ার চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ)। কিন্তু কেবল এসআইবিএল ফি জমা নিচ্ছে। প্রতিদিন জেলার ছয় উপজেলা থেকে শত শত মানুষ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে আসেন জেলা শহরে। তারা ভিড় করেন এসআইবিএল শাখায়। এখানে দিনে বড়জোর ২৫/৩০ জন ফি জমা দিতে পারেন। অনেকে দুই সপ্তাহ ঘুরেও টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। দৌলতপুর উপজেলা থেকে আসা আব্দুস সাত্তার বলেন, পাঁচ দিন ব্যাংকে ঘুরেও টাকা জমা দিতে পারেননি। মিরপুর উপজেলার আটিগ্রামের আব্দুল জলিল জানান, মাত্র কয়েকদিন আগে মোটরসাইকেল কিনেছেন কিন্তু রেজিস্ট্রেশন না থাকায় পুলিশ সেটি আটক করেছে। এরপর সাত দিন ধরে ব্যাংকে ঘুরেও রেজিস্ট্রেশনের ফি জমা দিতে পারেননি।  মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল রাস্তায় পেলেই ধরছে পুলিশ। অন্যদিকে সময়মত রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে পারছেন না ক্রেতা। বিআরটিএ কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশরাকুর রহমান বলেন, প্রতিদিন ৪০-৫০ গ্রাহক টাকা জমা দিতে পারছে না বলে অভিযোগ পাচ্ছি। এ সমস্যা দ্রুত নিরসনের জন্য বিআরটিএ ঢাকা কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানানো হচ্ছে। ব্যাংকে সময়মতো টাকা জমা না দিতে পেরে শত শত মোটরসাইকেল মালিক জেলা প্রশাসকের অফিসসহ স্থানীয় বিআরটিএ অফিসে ভিড় করছেন। সেখানে প্রতিদিনই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন ২১ জুন মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট আটটি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ করেন।

সর্বশেষ খবর