ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুরের জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আমির হোসেন জানান, নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে খুব শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে।
জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তিতাস নদীর উপর ২০৩ মিটার দীর্ঘ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর সেতুটি ১৯৬৬ সালে নির্মিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সেতুর দুটি স্প্যান হানাদার বাহিনী বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে বেইলি সেতুর মাধ্যমে সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়। ১৯৮৭ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সেতুসমূহের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় দুটি স্প্যান পুনরায় নির্মাণের প্রকল্প গৃহীত হয়। নির্মাণকালীন সময়ে ৯টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার অব্যাহত রাখা হয়েছিল। ১৯৯২-৯৩ সালে স্প্যান দুটি পুনঃনির্মাণের পর সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে সেতুটির মাঝের স্প্যানের গার্ডারে ফাটল দেখা দিলে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের মাধ্যমে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মাঝের স্প্যানে ২০০ ফুট স্টিল বেইলি ব্রিজ দুই লেনে স্থাপন করা হলেও যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি কাটেনি। চালকরা জানান, সেতুটি দিয়ে তারা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এবং সেতুটি কোনোভাবে বন্ধ হয়ে গেলে সিলেট থেকে আহরিত পাথর, কয়লা, চুনাপাথর, মত্স্য এবং কৃষিজাত পণ্য ঢাকাসহ অন্য অঞ্চলে আসা দুরুহ হয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।