শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রশিক্ষণের অর্ধেক টাকা কর্মকর্তার পকেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের গৌরনদীতে ‘ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি’র প্রশিক্ষণ ভাতা ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। যদিও ওই কর্মকর্তা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ‘ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি’র আওতায় শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে গৌরনদী উপজেলার ৯১৯ জনকে মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের ৩২ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষক নির্বাচিত করা হয়। প্রশিক্ষকদের জন্য ১৪ লাখ টাকা এবং কর্মসূচির উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য আরও ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। ক্লাস প্রতি প্রশিক্ষকের সম্মানী ভাতা ছিল ৫০০ টাকা করে।  প্রকল্পের কয়েকজন প্রশিক্ষক জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন একজন প্রশিক্ষকের ৪টি ক্লাস নির্ধারিত ছিল। কিন্তু গৌরনদী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান নিজে মার্চে ১৬০টি এবং এপ্রিলে ১৯৬টি ও মে মাসে ১৯৬টি করে ক্লাস নিয়েছেন বলে হাজিরা খাতা তৈরি করেছেন। তিনি দৈনিক গড়ে ৮টিরও বেশি ক্লাস নিয়েছেন উল্লেখ করে তিন মাসে ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা নিয়েছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশুতোষ রায় জানান, তিনি মার্চে ৪২টি, এপ্রিলে ৪৮টি এবং মে মাসে ৩৯টি ক্লাস নিয়েছেন। কিন্তু যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান তার ভাতাপ্রাপ্তি শিটে টাকার অঙ্ক এবং ক্লাসের সংখ্যা না লিখে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাত করেছেন। একই অভিযোগ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর বিপ্লব চন্দ  বড়ালের।  উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রত্যেক প্রশিক্ষককে হাজিরা অনুযায়ী ভাতার টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির উপজেলা সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, এ বিষয়ে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ খবর