সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

মহেশপুর-কোটচাঁদপুরের অন্যরূপ

গত তিন বছরে রাজনৈতিক সংঘাতের মামলা নেই

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ উপজেলার মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরে কিছুদিন আগেও চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। মাদকের ছড়াছড়ির পাশাপাশি চুরি-ডাকাতির ঘটনাও ঘটত প্রায়ই। বর্তমানে সেই মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। বর্তমানে এই দুই উপজেলায় নেই দলীয় সংঘাত, নেই কোনো দ্বন্দ্ব, নেই চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি। গত তিন বছরে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর থানায় এ সংক্রান্ত কোনো মামলা হয়নি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। মহেশপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান— গত তিন বছরে রাজনৈতিক সংঘাতের কোনো মামলা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। কোটচাঁদপুরের ওসি আহমেদ কবির জানালেন এ কথা। এ ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতা-কর্মী বললেন— ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর- কোটচাঁদপুর) আসনের এমপি নবী নেওয়াজ ওইসব বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় তা প্রায় নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছেন। এখানে প্রশাসন স্বাধীনভাবে কাজ করায় চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠেছে। জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা দুটি মূলত জামায়াত নিয়ন্ত্রিত। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপি দেশব্যাপী যে তাণ্ডব ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরের অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ। সে অবস্থার মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হন। নির্বাচনের পর জামায়াত-বিএনপির ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র মুছে ফেলে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। চলতি বছরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোটচাঁদপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে এবং মহেশপুর উপজেলার ১২টির মধ্যে ৭টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তিজন আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। অথচ ২০১১ সালের জুনে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরের ১৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে জামায়াত ও ৪টিতে বিএনপি এবং ৪টিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর