নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জে পাঁচ বছরেও নির্মাণ হয়নি কোনো ডাস্টবিন। যত্রতত্র ময়লা ফলায় দূষিত হচ্ছে এ এলাকার পরিবেশ। এ ছাড়া এখানে নেই কোনো পরিচ্ছন্নতা কর্মী। রাস্তাঘাট সব সময় থাকে নোংরা। সাধারণ মানুষের সড়কে চলাফেরা করতে পোহাতে হয় ভোগান্তি। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কনজারভেন্সি কর্মকর্তা হিরণ মিয়া জানান, পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে সঠিকভাবে বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হচ্ছে না। তিনি এনজিওর মাধ্যমে বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য অপসারণে মানুষের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ঘরপ্রতি ২৫ টাকা ফি নির্ধারিত করে দিয়েছি। আমাদের কাছে অভিযোগ আছে তারা নির্ধারিত ফির বেশি টাকা নিচ্ছে।’ সরেজমিনে নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চল ঘুরে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে ময়লা ফেলার জন্য একটি ডাস্টবিনও বানানো হয়নি। বরং সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা থাকাকালে কিছু এলাকায় যেসব ডাস্টবিন বানানো হয়েছিল তা ভেঙে ফেলা হয় বলে জানান এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ বাসাবাড়ির আবর্জনা যত্রতত্র খোলা জায়গায় ফেলছেন। এতে একদিকে যেমন দূষিত হচ্ছে পরিবেশ তেমন ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু। যত্রতত্র পড়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে মূল সড়কের ওপর দিনের পর দিন পরে থাকে ময়লা। এ ছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকার বাসাবাড়ির ময়লা ফেলা হয় নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা সড়কের পাশে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের সব আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে। এক কথায় সিটি করপোরেশনের আবর্জনার ডাম্পিং স্টেশনে পরিণত হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ। ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিটি খাতে তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স নেওয়া হলেও সুবিধা পাচ্ছেন যৎসামান্য।