শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভবন নিয়ে জটিলতায় চার কারখানা মালিক গ্রেফতার

চাকরি হারানোর শঙ্কায় শ্রমিকরা

সাভার প্রতিনিধি

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ভবন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় ব্রিটিশ নাগরিকসহ দুটি পোশাক কারখানার মালিকপক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ও গতকাল সকালে কারখানার ভিতর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আটকরা হলেন— এস-২১ কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিটিশ নাগরিক আরশাদ মাথিয়া, কে-২ ক্যাজুয়াল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান উত্পল, কাজল ও হুমায়ন। গতকাল তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে মালিকদের গ্রেফতার করায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। চাকরি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে প্রায় এক হাজার শ্রমিক। পুলিশ, ভবন মালিক ও কারখানা মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আশুলিয়ার নরসিংহপুরে জেসমিন হাসানের মালিকানাধীন চারতলা ভবনের দ্বিতীয়-তৃতীয় তলায় এস-২১ এবং চতুর্থ তলায় কে-২ ক্যাজুয়াল লিমিটেডের কারখানা অবস্থিত। জেসমিনের কাছ থেকে ভবন ভাড়া নিয়ে ৯ বছর ধরে ব্রিটিশ নাগরিক ও বাংলাদেশি মালিকানায় কারখানা পরিচালনা হয়ে আসছে। এরই মধ্যে ভবন সংস্কার নিয়ে জটিলতায় কারখানা মালিক ও ভবন মালিকের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে কারখানা মালিক আদালতে একাধিক মামলা করেন। ভবন মালিকও কারখানার দুই মালিকের নামে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিতে থাকেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে জেসমিন থানায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা করেন। আশুলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ রাতেই কারখানা দুটিতে অভিযান চালিয়ে দুজন এবং গতকাল সকালে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে। এস-২১ কারখানার জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল রাব্বী জানান, রানা প্লাজা ধসের পর শ্রম মন্ত্রণালয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে। ওই সময় মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত একটি দল তাদের কারখানাটি পরিদর্শন করে কিছু ত্রুটি পায়। ভবন মালিককে বার বার ত্রুটি মেরামত করতে বলেও কাজ হয়নি। পরে কারখানা মালিক নিজেই ত্রুটিগুলো ঠিক করিয়ে নেন। এতে তাদের বেশকিছু টাকা ব্যয় হয়। ভবন মালিককে খরচাপাতি নিয়ে আলোচনায় বসতে বললে তারা সাড়া না পেয়ে ভাড়া বন্ধ করে দেন কারখানার দুই মালিক। আলোচনা করে সমাধান শেষে ভাড়া নেওয়ার জন্য বলা হলে ভবন মালিক তাদের অন্যায়ভাবে চলে যেতে বলেন। সর্বশেষ চাঁদাবাজি মামলা দেন। এদিকে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে জেসমিন বলেন, কারখানার দুই মালিক ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত ভাড়া দিলেও এরপর থেকে টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ভাড়া পরিশোধ না করে নানা অজুহাত দেখিয়ে ভবনটি দখলের চেষ্টা করেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে ১১টির বেশি মামলা দেন।

সর্বশেষ খবর