শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মেডিকেল ছাত্রীর মামলায় ইন্সপেক্টর কারাগারে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীর দায়ের করা পর্নোগ্রাফি মামলায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোমিনুল ইসলাম মোমিন আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। মোমিনুল পাবনা জেলার নাজিরপুর এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয় পাবনার গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী। সে সময় কুষ্টিয়ায় কর্মরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোমিনুল ইসলামের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। একই জেলায় বাড়ি হওয়ায় তাদের ঘনিষ্ঠতা হয়। মোমিনুল প্রায়ই ওই ছাত্রীর হোস্টেলে আসা-যাওয়া করতেন এবং বাইরে ঘুরতেও নিয়ে যেতেন। ২০১২ সালের জুন মাসে কুষ্টিয়া শহরের পালকি হোটেলে নিয়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। এতে ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়লে মোমিনুল তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। সে সময় ওই ছাত্রীর ভিডিও ও বেশ কিছু ছবি তুলে নেন ওই পুলিশ। পরে ওই ভিডিও ও ছবি দেখিয়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু মোমিনুল বিবাহিত হওয়ায় মেয়েটি প্রস্তাবে রাজি হননি। পরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অভিভাবকদের সম্মতিতে পাবনা জেলায় বাসিন্দা এক প্রকৌশলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর মোমিনুল ওইসব ছবি তার বরের বাড়ির লোকজনের কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপর ওই ছাত্রীকে তালাক দেন তার বর।

সর্বশেষ খবর