শিরোনাম
শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

শরীয়তপুরে মৃত ব্যক্তির নামে ১০ টাকার চাল

বরিশালে বঞ্চিত ১৩০৫ হতদরিদ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারীয়া ইউনিয়নে মৃত ব্যক্তির নামে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ দেখিয়েছেন ডিলার। একইভাবে সচ্ছল, প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবীর নাম তালিকাভুক্ত করে এ ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। এতে বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত হতদরিদ্ররা। সরেজমিন ঘুরে এবং তালিকা ও মাস্টার রোল থেকে জানা যায়, আংগারীয়া ইউনিয়নে এক হাজার ৩৪৪ হতদরিদ্রকে প্রতি মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার জন্য তালিকা তৈরি করা হয়। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তালিকাভুক্ত হয়েছেন শাহাজালাল (৬৫), পিতা মজিদ খন্দকার। তার বাড়ি গিয়ে জানা যায়, শাহাজালাল ৪-৫ বছর আগে মারা গেছেন। তার স্ত্রী রহিমা খুপড়ি ঘরে বাস করলেও তিনি কোনো চাল পান না। মৃত স্বামীর নামে চাল কারা উত্তোলন করছেন কিছুই জানেন না রহিমা। অথচ ডিলারের চাল বিতরণের মাস্টার রোলে দুই মাসে শাহাজালালের নামে টিপসই ও চাল বিতরণ দেখানো হয়েছে। অপর তালিকাভুক্ত শাহিনুর বলেন, ‘আমরা সচ্ছল। স্বামী কুয়েত প্রবাসী। আমি একবার চাল এনেছিলাম এরপর আর যাইনি।’ গৃহবধূ সাজেদা জানান, তার স্বামী আতাউর রহমান চাকরি করেন। তালিকায় নাম আছে কিন্তু তারা চাল উত্তোলন করেননি। এছাড়া সরকারি চাকরিজীবী ও এক পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম রয়েছে তালিকায়। ডিলার মফিজুল রহমানের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে চাল লোপাটের অভিযোগও করেছেন স্থানীয়রা। কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে দাবি করেন, এসব অনিয়মে ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর আকিবারসহ অন্য মেম্বরদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। আংগারীয়া ইউপি সচিব জুয়েল পারভেজ জানান, তালিকা প্রণয়ন কমিটিতে তিনি ছিলেন না। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। সদর উপজেলার ইউএনও জিয়াউর রহমান বলেন, অনিয়মের বিষয়ে জেনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বরিশালের উজিরপুরের সাতলায় এক হাজার ৩০৫ জন হতদরিদ্রের ভাগ্যে জোটেনি ১০ টাকা মূল্যের চাল। এ নিয়ে বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা বিরাজ করছে। জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর প্রথম কিস্তির ১০ টাকার চাল অন্য সব ইউনিয়নে বিতরণ করা হলেও সাতলায় দিতে পারেনি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এ জন্য তারা একে অপরকে দুষছেন। ইউপি চেয়ারম্যান খালেক আজাদ জানান, উপজেলা খাদ্য অফিস এক ডিলারকে নিজ এলাকা থেকে অন্য এলাকায় দেওয়ায় সমস্যা হয়েছে। এ কারণে পুনরায় তালিকা করা হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিধান চন্দ  জানান, ডিলারদের তালিকায় কিছু ভুল ছিল। ইউএনও ঝুমুর বালা জানান, বিষয়টি সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর