বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামে কবিরাজির মাধ্যমে কথিত প্রেমিককে পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুই স্কুলছাত্রীকে দিনে পর দিন ধর্ষণ করেছে আকিল আহম্মেদ (৪৮) নামে এক লম্পট। ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের মুখ বন্ধ রাখা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে গতকাল গ্রামবাসী ধর্ষক আকিল আহম্মেদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচূর করেন। আকিল পলাতক রয়েছে। সে চান্দাই গ্রামের আবদুল বারীর ছেলে। এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর আগে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কবিরাজির মাধ্যমে তার সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেয় আকিল আহম্মেদ। পরে তার কথামত রাত ১১টার দিকে মেয়েটি তার বাড়িতে গেলে কবিরাজির ভান করে সে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয় ডিশ লাইন ব্যবসায়ী রঞ্জুসহ কয়েক সহযোগীর সহায়তায় ধর্ষণের চিত্র ধারণ করা হয়। পরে এ ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক বছর ধরে নিয়মিত মেয়েটিকে ভোগ করে আসছিল। কিছুদিন আগে অপর মেয়ে এ ঘটনা দেখে ফেলে। পরের দিন কৌশলে মেয়েটিকে আকিল আহম্মেদ তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকেও ধর্ষণ করে এবং সে দৃশ্য ধারণ করে। সম্প্রতি মেয়ে দুটি ধর্ষকের আহ্বানে সাড়া না দিলে ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে মেয়ে দুটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বড়াইগ্রাম থানার ওসি জানান, অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের শিকার : কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, জেলার নাঙ্গলকোটে এক প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। উপজেলার মৌকারা ইউনিয়নের উত্তর আলিয়ারা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে বুধবার নাঙ্গলকোট থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলিয়ারা গ্রামের প্রতিবন্ধী তরুণী মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে সবজি আনতে গেলে পাশ্ববর্তী বাড়ির রুহুল আমিন তাকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে।