বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

টিআর কাবিখায় ভোট কেনার অভিযোগ হুইপের বিরুদ্ধে

শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন

শেরপুর প্রতিনিধি

টিআর-কাবিখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে জেতানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুরে শহরের খরমপুর এলাকায় নির্বাচনী অফিসে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রুমান সংবাদ সম্মেলন ডেকে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন। রুমান বলেন, ‘বারবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে অভিযুক্ত হুইপ আতিক যাতে নির্বাচনকালীন শেরপুরে থাকতে না পারেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানাই।’ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, সরকারি কর্মসূচির নামে শেরপুরে অবস্থান করে ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করে হুইপ তার পকেটের প্রার্থী অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে পাস করাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। গত ইউপি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে হুইপকে শেরপুর ছাড়তে হয়েছিল। পৌরসভা ও বর্তমান নির্বাচনেও শোকজ খেয়েছেন তিনি। এর পরও সরকারি কর্মসূচির নামে তিনি শেরপুরে অবস্থান করছেন। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত। এ সময় চরশেরপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার সুজা তালুকদার মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, হুইপ তাকে গত রাতে (মঙ্গলবার) দলীয় কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে চন্দনকে ভোট দেওয়ার বিনিময়ে দুই টন কাবিখার চাল দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ সময় হুইপ আতিক তাকে বলেছেন, এই চালের জন্য কোনো কাজ করতে হবে না, শুধু ভোটটা দিতে হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফারজানা মুন্নী অভিযোগ করে বলেন, শুধু চেয়ারম্যান নয়, পছন্দের মেম্বার প্রার্থীদের পাস করাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন হুইপ। এক প্রশ্নের জবাবে রুমান বলেন, ‘দল স্বাধীনভাবে নির্বাচন করার অনুমতি দিয়েছে। আমি দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নয়, বরং কজন নেতার স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। নির্বাচনে বারবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করে হুইপ নানাভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ছানুয়ার হোসেন ছানু, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদ ওদু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আকতারুজ্জামান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুন্নাহর কামাল, যুবলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবলীগ নেতা বায়েজিদ হাসান প্রমুখ। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারদলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। তাই কোনো ধরনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছি না। শেরপুরে আমার বাসা ও অফিস ছাড়া আমি কোথাও যাই না। কোনটা আচরণবিধি লঙ্ঘন তা জেনেই এসেছি।’

সর্বশেষ খবর